মহানগর ডেস্ক: বৃহস্পতিবার সাসপেন্ড সাংসদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৭-এর কাছাকাছি। সংসদে বাদল অধিবেশন শুরুর দিন থেকে নানা বিষয় নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধী পক্ষ। শাস্তি স্বরূপ বরখাস্ত করা হয়েছে বেশ কয়েকজন সাংসদকে। প্রথমে লোকসভার ৪ সাংসদকে বরখাস্ত করা হয় অধিবেশন থেকে। তার ঠিক পরের দিনই আবার রাজ্যসভা থেকে ১৯ জন সাংসদকে বরখাস্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার আরও ৩ জন সাংসদকে বরখাস্ত করা হয়েছে রাজ্যসভা থেকে। আগামী এক সপ্তাহে তাঁরা বাদল অধিবেশনের অংশ হতে পারবেন না।
সূত্র অনুযায়ী, আজ দু’জন আপ সাংসদ এবং একজন নির্দল সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এই আবহে দুপুর দু’টো পর্যন্ত অধিবেশন মুলতুবি রাখা হয়েছিল। অধিবেশন শুরুর প্রথম দিন থেকেই জিএসটি, মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব নিয়ে সুর চড়িয়েছে বিরোধী দলগুলি। কংগ্রেস সাংসদরা সনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধীকে ইডির জিজ্ঞাসাবাদকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান। শাস্তি স্বরূপ সাসপেন্ড করা হয়েছে কংগ্রেস সাংসদ সহ আপ ও তৃণমূলের সাংসদদের। যেই তালিকায় আজ নাম জুড়েছে সুশীল গুপ্তা, সন্দীপ পাঠক এবং অজিত ভুঁইয়া।
গেল মঙ্গলবার ১৯ জন সাংসদকে উচ্চকক্ষে স্লোগান-প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ প্রদর্শনের কারণে আগামী এক সপ্তাহের জন্য বরখাস্ত করা হয়েছিল। যেখানে সিপিএম, সিপিআইএম, ডিএমকে, টিআরএস, তৃণমূল সাংসদদের নাম ছিল। এর পরবর্তীতে বরখাস্ত সাংসদরা সংসদ চত্বরে ৫০ ঘন্টার প্রতিবাদ দেখাতে শুরু করেন। তাঁরা সাসপেনশন প্রত্যাহারের দাবি জানান। সরকারপক্ষ আলোচনায় রাজি থাকলেও, তারা বিরোধী পক্ষের সাংসদদের ক্ষমা চাইতে বলেন। যা ইতিমধ্যে খারিজ করেছে বিরোধী শিবির। নানা বিষয় নিয়ে সংসদের বাদল অধিবেশনের দুই কক্ষে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
মোদি নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে মূল্যবৃদ্ধি, জিএসটি ইস্যু নিয়ে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। অন্যদিকে লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা রাষ্ট্রপতিকে ‘রাষ্ট্রপত্নী’ বলে সম্বোধন করলে উত্তেজনা ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে। এমনকি এর দরুন আঙুল উঠেছে কংগ্রেসের সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীর দিকে। তাঁকে ক্ষমা চাওয়ার কথা বলা হয়েছে। এই হট্টগোলের মাঝেই বরখাস্ত করা হয়েছে আরও ৩ সাংসদকে।