মহানগর ডেস্ক: আরও কাছাকাছি কলকতা-ঢাকা। দূরত্ব কমল ১৫০ কিলোমিটার। এখন মাত্র সাড়ে ৬ ঘন্টায় মানুষ পৌঁছে যেতে পারবে ওপার বাংলায়। বিগত কয়েক দিন ধরে উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল পদ্মা সেতুকে (Padma Setu) ঘিরে। আজ সেই সেতু উদ্বোধন করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। শনিবার সেতুর মাওয়া প্রান্তে দাঁড়িয়ে হাসিনা বলেন, “এই সেতু বাঙালির অহংকার এবং গর্ব ও সক্ষমতার প্রতীক”।
এদিন সকাল ১০ টায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন শেখ হাসিনা। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশের সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও ক্যাবিনেট সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কোটি কোটি বাংলাদেশবাসীর মত আজ আমিও আনন্দিত। সেইসঙ্গে দেশের এই কৃতিত্বে অত্যন্ত গর্বিত। অনেক বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে এবং ষড়যন্ত্রকে হারিয়ে পদ্মা নদীর বুকে দাঁড়িয়ে রয়েছে এই সেতু’।
আরও পড়ুন: আমহার্স্ট স্ট্রিট থানার ডাকে কলকাতায় আসছেন নূপুর শর্মা?
প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘পদ্মা নদীর উপর তৈরি হওয়া এই সেতু শুধু সিমেন্ট, স্টিলের তৈরি কোনও নির্মাণ শৈলী নয়। এটি বাংলাদেশের সক্ষমতা ও মর্যাদার প্রতীক। এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বাংলাদেশবাসীর জেদ, আবেগ ও ভালোবাসা। যদিওবা কিছু ষড়যন্ত্রের কারণে আমাদের সেতু নির্মাণে দেরি হয়েছে। কিন্তু কোনওভাবেই আমরা ভেঙে পড়িনি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের স্বপ্ন সত্যি করে শেষমেশ আমরা জয়ী হয়েছি’।
উল্লেখ্য, ২০০১-এ এই সেতু নির্মাণের জন্য সমীক্ষা শেষ করেছিল জাপানের এক সংস্থা। সেই সময় তাঁর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন হাসিনা। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কথায়, দেশ-বিদেশের অনেকেই এই সেতু নির্মাণ নিয়ে সরকারের নিন্দা করেছিল। তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘সেতু তৈরি হয়ে গিয়েছে। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কোনও ধস নামেনি। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশে। আমরা প্রমাণ করেছি, আমরা পারি। এই সেতু গোটা জাতিকে অপমান করার প্রতিশোধও’।
এই দ্বিতল সেতু চালু হওয়া মানে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি জেলার সঙ্গে রাজধানী ঢাকার যোগাযোগ স্থাপন হওয়া। সরকারের দাবি, এর ফলে ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নতি হবে। এর উপরের অংশ দিয়ে যানবাহন এবং নিচের অংশ দিয়ে ট্রেন চলাচল করবে।