মহানগর ডেস্ক: উদয়পুরে (Udaipur Tilor Murder) দর্জি কানাহাইয়া লালের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে পাক-সৌদি যোগ রয়েছে। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত রিয়াজ আত্তারি পাকিস্তানী এক ব্যাক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। তাদের পরিচয় হয় সৌদি আরবে। ২০১৯-এ জমি বিক্রি করে সেখানে গিয়েছিলেন রিয়াজ। দর্জিকে মারার জন্য যে দুটি ছুরি ব্যবহার করা হয়েছিল তা, তৈরি করে দিয়েছিলেন আত্তারি।
তদন্তকারী সংস্থার সূত্র অনুযায়ী, ষড়যন্ত্রকারীদের ফোনে ভিপিএন ব্যবহার করা হয়েছে। যার মাধ্যমে তারা ঠিকানা গোপন করে সৌদি আরব ও পাকিস্তানে কল করেছিল। ২০ জুন নূপুর শর্মার বিরুদ্ধে সমাবেশের পর স্থানীয় আঞ্জুমানের এক সভায় উদয়পুরের ওই দর্জিকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরবর্তীতে ২৬ জুন কানহাইয়া লালের দোকানে তাঁকে মারার জন্য খুনিরা গেলেও, তাঁকে সেদিন দোকানে পান না। অবশেষে নৃশংসভাবে তার হত্যা করা হয়।
এই মুহূর্তে গোটা বিষয়ের তদন্ত চলছে। যার দরুন এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে পাক ও সৌদি যোগ সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে, ২০১৯-এ সৌদি আরব সফরের সময় একজন পাকিস্তানি নাগরিক উমরের সঙ্গে দেখা করেছিলেন আত্তারি এবং পরবর্তীতে তার সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রেখেছিলেন। এদিকে সূত্র অনুযায়ী, দুই অভিযুক্তই ‘দাওয়াত-ই-ইসলামী’ সংগঠনের সঙ্গে জড়িত। এটি একটি ধর্মীয় সংগঠন। যা পাকিস্তান থেকে পরিচালিত হয়। এর নেটওয়ার্ক বিশ্বের ১৯৪টি দেশে বিস্তৃত। জানা গিয়েছে, ‘দাওয়াত-ই-ইসলামী’ ১৯৯১ সালের ডিসেম্বরে মুম্বইয়ে একটি ইজতেমা আয়োজনের পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু পারস্পরিক বিরোধের কারণে অনুষ্ঠানটি হতে পারেনি। এই সংগঠন অনলাইনে ৩২টিরও বেশি ইসলামিক কোর্স পরিচালনা করে। মূলত তদন্তে জানা গিয়েছে, উদয়পুর হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্তরা সেই অনলাইন কোর্সগুলি করছিল।
পাশাপাশি পিএফআই গ্রুপের রাজনৈতিক শাখা এসডিপিতে ২০১৯ সালে যোগ দিয়েছিলেন আত্তারি। মজার বিষয় হল এই PFI-SDFI-এর সঙ্গে রিয়াজ আত্তারি ও আমরাবতী ফার্মাসিস্টের খুনির যোগ মিলেছে। মূলত পিএফআই রাজনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে নিজেদের ধারণাকে তুলে ধরার চেষ্টা করে। এক কথায় মুসলমানদের কন্ঠস্বর হয়ে ওঠে। আর এই সমস্ত কিছুর সঙ্গে যোগ পাওয়া গিয়েছে উদয়পুর হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্তদের।