মহানগর ডেস্কঃ সামনেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন । আর সেই নির্বাচনেই প্রতিটি বুথে ৫১ থেকে ১০০ শতাংশ ভোট পাওয়ার টার্গেট সামনে রেখে পঞ্চায়েত নির্বাচনে ঝাঁপাতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। মঙ্গলবার দলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, প্রতি বুথে ৫১ থেকে ১০০ শতাংশ ভোট শাসক দলকে পেতেই হবে। তিনি আরও জানান, বিজেপি – সিপিএম- কংগ্রেস তলায় তলায় হাত মিলিয়ে বাকি ৪৯ শতাংশ ভোট পাবে কিনা তা নিয়ে ভাবনা চিন্তার দরকার নেই। কুণাল ঘোষের আরও দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন প্রকল্প প্রতিটি মানুষের কাছে পৌঁছেছে। তাই তৃণমূলের ১০০ শতাংশ ভোট পাওয়া উচিত বলেই তিনি মনে করেন।
তৃণমূলের এই টার্গেট প্রসঙ্গে বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, কলকাতা সহ পুর ভোটে শাসকদল যে ভোট লুঠের কৌশল নিয়েছিল তারই পুনরাবৃত্তি করতে চাইছে তৃণমূল। তবে তিনি এও জানান, গ্রামে গ্রামে যেভাবে মানুষ তৃণমূল নেতাদের গাছে বেঁধে রাখছেন, কোথাও তৃণমূল নেতা গিয়ে চুরির টাকা ফেরত দিচ্ছেন – তা থেকে স্পষ্ট শাসকদলের পায়ের তলার মাটি সরে গিয়েছে।
সিপিএম রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য শমীক লাহিড়ী জানিয়েছেন, তৃণমূলের উন্নয়ন ২০১৮ সালে বিডিও অফিসের সামনে দাঁড়িয়ে বাম প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দিতে দেয়নি। কিন্তু মানুষ এখনও বলছে, চোর তাড়াও গ্রাম বাঁচাও। তাই ভোট লুঠেরাদের মনোবল জোগাতে তৃণমূল এসব কথা বলছে।
যদিও বিরোধী দলগুলোর এই সমস্ত মন্তব্যে পাত্তা দিতে নারাজ রাজ্যের শাসকদল। তৃণমূল নেতৃত্বের দৃঢ় বিশ্বাস, বিজেপির সাম্প্রদায়িক রাজনীতি প্রত্যাখ্যান করে উন্নয়নের পক্ষেই মানুষ ঢেলে ভোট দেবেন তাঁদেরকেই।