Home Featured Panic Attack : আচমকাই কি আতঙ্কে গা হাত পা ঠান্ডা হয়ে যায় ? আপনি প্যানিক অ্যাটাকের শিকার হচ্ছেন না তো ? ?

Panic Attack : আচমকাই কি আতঙ্কে গা হাত পা ঠান্ডা হয়ে যায় ? আপনি প্যানিক অ্যাটাকের শিকার হচ্ছেন না তো ? ?

by Mani Sankar Debnath

মহানগর ডেস্ক: এমনি সবই ঠিকঠাক চলছে। গল্প করছেন সবার সঙ্গে কিংবা মন দিয়ে কোনও কাজ করছেন। হঠাৎই আতঙ্ক,ভয়ে বা আশঙ্কায় বুক ধরফর করে উঠল (Panic Attack)। বুকের মধ্যে ভয়ে যেন আপনার বুক শুকিয়ে যাচ্ছে। অথচ আপনার আশপাশে ভয় বা আতঙ্কের কোনও কিছুই নেই। যদিও একেবারে বিনাকারণে (Without Reason) আপনার মধ্যে অদ্ভুত আতঙ্কের সৃষ্টি হওয়ায় আপনার হাত পা যেন ঠান্ডা হয়ে আসছে। এই আতঙ্কের ভাবটা মিনিট দশকের মধ্যে মন একেবারে কাহিল করে দেয়। তারপর আস্তেআস্তে সেই আতঙ্ক,ত্রাস কমে যেতে থাকে। তবে কোনও কোনও ক্ষেত্রে এই প্যানিক অ্যাটাক বেশ সময় ধরে চলে। আবার কোনও কোনও সময় এই অ্যাটাক পরপর হতে পারে। ফলে বোঝা যায় না এই অ্যাটাক একবারেই শেষ হয়ে যাবে না। ফের দেখা দেবে। যে কেউই এই প্যানিক অ্যাটাকে আক্রান্ত হতে পারেন। একটা অ্যাটাক নির্দিষ্ট কোনও ঘটনা থেকে ঘটে থাকে, আবার এই ধরণের লক্ষণগুলি অ্যানজাইটি ডিসঅর্ডার যেমন প্যানিক ডিজঅর্ডার বা অ্যাগোরাফোবিয়ার লক্ষণ হতে পারে।

এই প্যানিক অ্যাটাক একেবারে হঠাৎই হয়। যাতে ভয়ের গভীর অনুভূতি এমন একটা মানসিক পরিস্থিতি তৈরি করে, যা বলে বোঝানো যায় না। এই ভয়ের অনুভূতি দশ থেকে কুড়ি মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী হয়। তবে কোনও কোনও ক্ষেত্রে আরও অনেক বেশি সময় ধরে এই অনুভূতি স্থায়ী হয়। তবে এই অনুভূতি একেক জনের একেকরকমের হয়ে থাকে। এই অ্যাটাকের সাধারণ লক্ষণগুলো হল-বুকে ব্যথা বা অস্বস্তি। শরীরের শিরশিরানি বা গরম ও উষ্ণতা বোধ হয়। গলা আটকে যাওয়া। কীরকম দুর্বল বোধ হয়। মনে হয় এখনই মারা যাবেন। মাথা হাল্কা হয়ে যায় বা অজ্ঞান হয়ে পড়া। নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাওয়া, মনে হয় পাগল হয়ে যাবেন। তলপেটে ব্যথা হওয়া,কীরকম অস্বাভাবিক লাগে চারদিক। বুক ধরফড় করা, বুকের ওঠানামা হতে থাকে, শ্বাসপ্রশ্বাসে কষ্ট হওয়া বা ঘাম হওয়া-এরকম অনেকরকমই ঘটতে পারে। অনেক কারণেই এই প্যানিক অ্যাটাক হতে পারে। যেমন ব্রেন কেমিস্ট্রি, জেনেটিকস ও পারিবারিক ইতিহাস, প্রচণ্ড চাপ ও ব্যক্তিত্ব এবং মেজাজ। এ ধরণের ঘটনা ঘটতে থাকলে বসে না থেকে মনস্তত্ত্ববিদ বা চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। Cognitive Behavioral Therapy-র মাধ্যমে প্যানিক অ্যাটাকের শিকার হওয়া ব্যক্তিকে সুস্থ করার চেষ্টা করতে পারেন। অবসাদ দূর করার ওষুধ দিয়ে রোগীকে সুস্থ করার চেষ্টা করবেন। মনে রাখবেন, বসে না থেকে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ।

You may also like