মহানগর ডেস্ক: তৃণমূল ভবনে শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির বৈঠকের পর বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে বসেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। জানালেন, সর্বসম্মতিক্রমে মন্ত্রিত্বের পর দলের সমস্ত পদ থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে পার্থকে (Partha Chatterjee)। একইসঙ্গে তৃণমূলের শৃঙ্খলা কমিটির তরফে তদন্তকারীদের কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছে, যত দ্রুত সম্ভব আসল সত্য সামনে আনা হোক।
আজই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে মন্ত্রিসভা এবং দলীয় পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়ে টুইট করেন কুণাল ঘোষ। নাম না করেই পার্থর অপসারণ প্রসঙ্গে কথা বলেন দেবাংশু ভট্টাচার্য। আর তার কয়েক ঘণ্টা পরেই তাঁকে মন্ত্রিসভা থেকে বরখাস্ত করার কথা জানিয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রত্যাশা মতোই তাঁকে দল থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, পার্থর গ্রেফতারের পর কুণাল ঘোষ বলেছিলেন, “আমরা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছি যার কাছ থেকে টাকা পাওয়া গিয়েছে বা যাদের নাম এসেছে তাঁরা গোটা বিষয়টা ভালো বলতে পারবেন। এর সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও সম্পর্ক নেই। আমাদের শুধু বক্তব্য, সময়ে তদন্ত শেষ করতে হবে। এখন একজনকে গ্রেফতার করে একটা বাতাবরণ তৈরি করে চলতেই থাকবে এবং বিরোধীরা অপপ্রচার চালাবে, তা হবে না। নোটবন্দির পর এত টাকা এল কোথা থেকে? টাকার উৎস কি? সমস্ত কিছুর তদন্ত করা হোক।
তাঁর কথায়, আদালতে যদি দলের কেউ দোষী প্রমাণিত হয়, সেক্ষেত্রে সে যত বড়ই নেতা হোক না কেন তৃণমূল কংগ্রেস সরকার নিশ্চিতভাবে তাঁর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। গতকাল রাতে পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে খাজানা। রীতিমতো বিরোধীদের তোপের মুখে পরেছে বাংলার শাসক দল।