মহানগর ডেস্কঃ শুধু অপরাধ করাই নয়, অপরাধ থেকে রক্ষা পেতেও নিজেদের রক্ষাকবচ তৈরি করার পরিকল্পনা করেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, সুবীরেশ ভট্টাচার্যরা। বুধবার আদালতে এমনই দাবি করল সিবিআই। বুধবার আলিপুর সিজেএম আদালতের অবকাশকালীন বেঞ্চে পার্থ-শান্তিপ্রসাদের মামলার শুনানি ছিল। সেই শুনানিতেই ওই বিস্ফোরক দাবি করে সিবিআই।
আদালতে সিবিআই দাবি করে, পার্থ-কল্যাণময়-সুবীরেশরা আগে থেকেই জানতেন কারা সাক্ষী দিতে পারেন তাঁদের হয়ে। আর সেইসবকে মাধ্যম করেই আগামভাবে বাঁচার পরিকল্পনাও করে নিচ্ছিলেন তাঁরা। সিবিআইয়ের এই দাবিকে সম্পূর্ণ নস্যাৎ করে দেয় পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ অন্যান্য অভিযুক্তদের আইনজীবীরা। তাঁদের দাবি, শুধু অভিযোগ করলেই হবে না, তাঁর প্রমাণ দিতে হবে।
এ দিন আলিপুর আদালতে দু’পক্ষের সওয়াল জবাব শেষে পার্থ সহ অভিযুক্তদের ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক। জেল থেকেই এদিন ভার্চুয়াল মাধ্যমে হাজিরা দেন অভিযুক্তরা। পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে আলাদা করে বিচারক তাঁর স্বাস্থ্যের কথা জিজ্ঞেস করেন। শান্তিপ্রসাদ সিনহার আইনজীবী সঞ্জয় দাশগুপ্ত মঙ্গলবারের সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন। তাঁর দাবি, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতিই দাবিটিই বর্তমানে প্রশ্নচিহ্নের মুখে। অথচ সেই অপ্রমাণিত দাবির ভিত্তিতে কীভাবে দিনের পর দিন অভিযুক্তদের জেল বন্দী করে রাখা হচ্ছে সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। তাঁর এই বক্তব্যের সঙ্গে বাকি আইনজীবীরাও সহমত পোষণ করেন। প্রত্যেক অভিযুক্তের জামিনের আবেদনই এদিন করা হয়।
এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী দাবি করেন, বিচারের জন্য পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে বাঁচিয়ে রাখা খুব দরকার। তাই বাঁচিয়ে রাখার জন্য জামিনের প্রয়োজন। একইরকম ভাবে শান্তিপ্রসাদ সিনহা এবং কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় প্রমুখের আইনজীবীও তাঁদের বয়সের দাবি জানিয়ে জামিনের আবেদন করেন। এসএসসি-র প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জেলবন্দী অশোক সাহার আইনজীবী জানান, যেহেতু অশোক সাহার বাড়ি থেকে কিছুই পাওয়া যায়নি সেহেতু এই দুর্নীতিতে তাঁর কোনও হাত নেই বলেই দাবি করেন তাঁর আইনজীবী।