মহানগর ডেস্কঃ শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। জেলই তাঁর আপাতত বাসস্থান। প্রথমদিকে জেলে থাকাকালীন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সেই ভেঙে পড়া পরিস্থিতি এখন অতীত। বরং এই মুহূর্তে জেলেই প্রাক্তন মন্ত্রী মশাই আছেন বহাল তবিয়তে। আবদার, নির্দেশ এসব তাঁর সহজাত স্বভাবসিদ্ধ। আর এবার তাতেই অতিষ্ঠ কারারক্ষীরা।
সূত্রের খবর, প্রেসিডেন্সি জেলের নিয়ম, মাছ বা মাংস রান্না হলে বন্দীদের জন্য বরাদ্দ দু পিস মাছ এবং চার পিস মাংস। তবে তাতে মন বা পেট কিছুই নাকি ভরছে না মন্ত্রী মশাইয়ের । তাই তাঁর জেলের কর্তা ব্যক্তিদের আবদার ছয় টুকরো মাংস এবং চার টুকরো মাছের।
তবে শুধু খাবারদাবারের ক্ষেত্রেই নয়, স্নানের ক্ষেত্রেও তাঁর আবদার ষোল আনা। নিরাপত্তার কারণে প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রীর সেলের কাছেই প্লাস্টিকের ড্রামে জল রেখেছে জেল কর্তৃপক্ষ। পার্থ-র দাবি, স্নানের সময় ড্রাম থেকে জল তাঁর গায়ে ঢেলে দেওয়ার জন্য একজন লোক নিয়োগ করতে হবে। তবে জেল কর্তৃপক্ষের দাবি, এই ধরণের কোনও নিয়ম আইনের আওতায় পড়ে না।
এখানেই শেষ নয়। জেল সূত্রে খবর, নিয়মানুযায়ী প্রত্যেক বন্দীকে দশ মিনিট কথা বলার অনুমতি দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে তাঁরা যে কোনও তিনটি নম্বরে ফোন করতে পারেন। তবে জেলের ভিতর ফোন করার সময়ে কারারক্ষীদের নিজের ধারে কাছে থাকার অনুমতি দিচ্ছেন না তিনি। তাঁর সেলের সামনেও যাতে কোনও রক্ষী না থাকে, সেই বিষয়টিও তিনি নজরে রেখে চলেছেন। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের একের পর এক আবদারে, বায়নায় নাজেহাল পরিস্থিতি জেলের কর্মীদের একাংশের।
এদিকে জেল সূত্রের খবর, নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। তাঁর সেলের সামনে দিয়ে গেলেও পার্থর সঙ্গে কথা বলতে নারাজ মানিক। একেকবার মানিককে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ডাকলেও সেই ডাক উপেক্ষা করেন মানিক এমনই জানানো হয়েছে প্রেসিডেন্সি জেলের তরফে।