মহানগর ডেস্ক : গত কয়েক বছরে যেভাবে বিশ্বে ক্যান্সারের বাড়বাড়ন্ত বেড়ে গিয়েছে তাতে প্রত্যেকদিন সকালে ঘুম থেকে ওঠাটাই একটা বিস্ময় লাগছে। যেভাবে দৈনিক ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার রোগী এবং ক্যান্সারের মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে তাতে রাতের ঘুম গিয়েছে অনেকের। তবে পরিসংখ্যান বলছে ক্যান্সার যেভাবে বেড়ে উঠেছে তাতে কেবলমাত্র মানুষের নয়। বরং এই মারণ রোগ বাসা বেধেছে আপনার প্রিয় পোষ্যের শরীরেও। শুধু তারা সমস্যা প্রকাশ করতে ব্যর্থ। তাই অজান্তেই বহু শিশুর প্রাণ যাচ্ছে অকালে।
তবে আপনার পোষ্য বলতে না পারলেও আপনাকেই বুঝে নিতে হবে তার গতি প্রকৃতি দেখে। ক্যান্সার হলে তার কিছু কিছু লক্ষণ ফুটে উঠবে আপনার প্রিয় পোষ্যের শরীরে। প্রাথমিক পর্যায়ে যদি সেগুলি ধরা পড়ে তাহলে তার মৃত্যুর আশঙ্কা অনেকটা কমেও যায়।
ওজন কমে যাওয়া – হঠাৎ করে কোন কারণ ছাড়াই যদি আপনার প্রিয় পোষ্যের ওজন কমে যায় তাহলে তা অবশ্যই চিন্তার ব্যাপার। অনেকেই বাড়ির পোষা কুকুর বা বিড়ালকে নিয়ে মাঠে দৌড়াতে যান। নির্দিষ্ট ডায়েট মেনে তাদের খাওয়া-দাওয়া করান। তারপরেও যদি হঠাৎ করে ওজন কমে যায় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান।
কাশি এবং শ্বাসকষ্ট – যদি আপনার বাড়ির পোষা কুকুরের দীর্ঘস্থায়ী কাশি সর্দি এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা হয়। সব সময় যে সে ক্ষেত্রে ঠান্ডা লেগেছে এমনটা নয়। যদি ঘন ঘন জ্বর সর্দি কাশি নাক থেকে জল পড়ার মতো সমস্যা হয়। এবং তা বেশ দীর্ঘস্থায়ী হয় তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না।
ঘনঘন জল তেষ্টা- সব সময় তৃষ্ণার্ত থাকা ক্যান্সারের একটি লক্ষণ হতে পারে। কয়েক মিনিট অন্তর অন্তর জল খাওয়া এবং বারে বারে প্রস্রাব করা আসলে টিউমারের শুরুর দিকের ইঙ্গিত।
শরীরে গন্ধ – যেকোনো পশুর শরীরে এমনিতেই একটা গন্ধ থাকে। তাই সপ্তাহে অন্তত দুই থেকে তিন দিন সাবান শ্যাম্পু মাখিয়ে স্নান করান অনেকে। কিন্তু স্নান করার পরেও যদি সেই গন্ধ শরীর থেকে না যায়। তাহলে বিষয়টি একটি গুরুত্ব দিয়ে ভাবুন। শরীরে ক্যান্সার বাসা বাঁধলে কিন্তু দুর্গন্ধ দেখা যায়।