মহানগর ডেস্ক: মঠের হোস্টেলে থাকা নাবালিকা ছাত্রীদের মাদক খাইয়ে নিয়মিত যৌন হেনস্থা করতেন লিঙ্গায়েত গুরু (Lingayet Sheer)। শুধু যৌন হেনস্থাই নয়, আরও অনৈতিক কাজ করানো হতো তাদের দিয়ে। কর্ণাটকের শীর্ষ লিঙ্গায়েত গুরুর বিরুদ্ধে চার্জশিটে এমনই গুরুতর অভিযোগ জানিয়েছে পুলিশ (Police Charge sheet) । চার্জশিটে জানানো হয়েছে গত তিন বছর ধরেই মুরুগা মঠের লিঙ্গায়েতগুরু শিবমূর্তি শারানারু এই কীর্তি করে যাচ্ছিলেন। তাঁর শিকার ছিল মূলত হোস্টেলের নাবালিকারা (Minor Students Sexually Abused)। সংবাদমাধ্যমের খবর, মঠাধীশের এমন কীর্তি চলতে থাকায় হোস্টেল থেকে পালিয়ে যাওয়ার মনস্থ করে দুজন নাবালিকা। হোস্টেল থেকে পালিয়ে গিয়ে তারা একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে সমস্ত ঘটনা জানায়। লিঙ্গায়েতগুরুর একাধিক কুকীর্তি প্রকাশ্যে আসার পর তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের করা হয় এফআইআর। সেপ্টেম্বরে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
লিঙ্গায়েত গুরুর বিরুদ্ধে পস্কো আইনে মামলা দায়ের করা হয়। লিঙ্গায়েত গুরুর বিরুদ্ধে এমন গুরুতর অভিযোগ ওঠায় বহু বিজেপি ও কংগ্রেস নেতা তাঁর হয়ে সমর্খন জানিয়ে বলেন, তাঁর সুনামের কারণে তাঁকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। যদিও এর পেছনে ভোটের অঙ্ক দেখতে পেয়েছে রাজনৈতিক মহল। কারণ কর্ণাটকে লিঙ্গায়েতদের প্রচুর প্রভাব রয়েছে। তবে গোড়ায় নাবালিকাদের যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠলেও কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুয়ারাপ্পা শিবমূর্তি শারানারুকে সমর্থন জানান। কিন্তু এই মুহূর্তে এ ব্যাপারে তিনি পুরোপুরি একশো আশি ডিগ্রি ঘুরে গিয়েছেন। বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, তাঁর অপরাধ ক্ষমার যোগ্য নয়। সংবাদমাধ্যমকে প্রবীণ বিজেপি নেতা বলেন, সারা পৃথিবী এখন জেনে গিয়েছে লিঙ্গায়েতগুরু ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। তিনি যে এত নীচে নামতে পারেন, তা কেউ-ই আশা করতে পারেনি। প্রত্যেকেরই এই ঘটনায় নিন্দা করা উচিত এবং দোষী লিঙ্গায়েতগুরুর শাস্তি হওয়া উচিত। গোড়ার দিকে লিঙ্গায়েত গুরুর ঘটনা নিয়ে কর্ণাটকের একাধিক রাজনৈতিক নেতার মধ্যে ষড়যন্ত্র তত্ত্ব ছড়িয়ে পড়েছিল। মঠের লোকজনেরাই তাঁর সুনাম ও পদমর্যাদাকে কালিমালিপ্ত করার চক্রান্ত করেছে বলে বলা হচ্ছিল।