মহানগর ডেস্ক: তৃণমূলের অন্দরে নবীন-প্রবীণদের দ্বন্দ্ব চরমে। বিশেষ করে শিরনামে যিনি আছেন তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। এই তৃণমূল নেতাকে নিয়ে দলের অন্দরে অসন্তোষের শেষ নেই। নিজের দলের মধ্যেই চলছে আক্রমণ, পাল্টা আক্রমণ। এই আবহেই ফের বিস্ফোরক দাবি করেছেন তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উচিত তাঁকে সরিয়ে দেওয়া, এই মন্তব্যের পরেই বঙ্গ রাজনীতিতে ঝড় উঠেছে।
লোকসভা ভোটের আগে দলের রাশ কার হাতে থাকবে? এই নিয়েই তৃনমূলের নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্ব পৌঁচেছে চরমে। এই আবহেই মুখ খুললেন উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরি। তাঁর কথায়, “নবীনদের হাতে ক্ষমতা মানে, বাঁদরের হাতে নারকেল। নবীনরা কাজ করতে পারে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আরও ১৫-২০ বছর থাকতে হবে পশ্চিমবঙ্গের জন্য। অন্য কোন দলে এমন কোন উপযুক্ত ব্যাক্তি নেই যে পশ্চিমবঙ্গের হাল ধরবে।” অর্থাৎ তিনি সওয়াল করলেন প্রবীণদের পক্ষেই। তিনি আরও বলেন,” যে সেনাপতি হয়েছে না, আমি আগেই বলেছিলাম, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যে, বাচ্চা আছে, নাবালক আছে। একে আপনি সঙ্গে রাখন, কিন্তু পুরো ক্ষমতা দেবেন না। অভিষেক কেও বলবো, ধৈর্য ধরতে। তোমার আগে দিদি আছে, ১৫ বছর, ২০ বছর, পশ্চিমবঙ্গের হাল ধরার জন্য। এখন মমতাদি কে থাকতে দাও, তোমার পিসিকে থাকতে দাও। এরকম করে একজনের কথায় নাচবে না।”
তৃণমূল নেতার এই মন্তব্যের পর প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘প্রবীণদেরকে অবসরে পাঠিয়ে ভাতা দিতে যান। নিজের দলেও সেটা করতে চাইছে…প্রবীণরা রাজি হচ্ছে না। তাঁরা বিদ্রোহ করছে।” অন্যদিকে সিপিএম রাজ্য় সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের কটাক্ষ করে বলেছেন, “তৃণমূলে একদল হচ্ছে, যাঁরা আগে বিজেপি করত, এখন তৃণমূলে এসেছে করছে। একটা দল আছে, যাঁরা তৃণমূল করত, বিজেপি গিয়েছে, আবার ঘুরে এসেছে। আর একদল আছে যাঁরা বিজেপি যাওয়ার জন্য় অপেক্ষা করছে” যদিও দলের বিধায়কের মন্তব্য়ে অবশ্য আমল দিতে নারাজ তৃণমূল। পাল্টা দাবি করে মন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, ”উনি কবে কোথায় বলেছেন? আমরা জানি না। তিনি, আমার দীর্ঘ বিধানসভা জীবনে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে গিয়ে কোনও কথা বলছেন, ক্যাবিনেটে কিছু বলছেন, আমি দেখিনি। একথা গুলি এখন বলছেন, পঞ্চায়েত ভোট থেকেই বলছেন। পঞ্চায়েত ভোটে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন, ওখানে তো তৃণমূল প্রবলভাবে জিতেছে।” ব্রাত্য বসু সঙ্গে পরামর্শ দিয়ে বলেছেন, ‘এই ধরনের কথা না বললেই ভালো করতেন’।