মহানগর ডেস্ক : ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর বহরমপুরে তৃণমূল প্রার্থী নিয়ে বেসুরো গাইছেন। সোমবার তিনি তাঁর বক্তব্যে স্পষ্ট করে দেন, তৃণমূল বাইরে থেকে বহরমপুরে প্রার্থী উড়িয়ে এনে ঠিক করেনি, এর মূল্য তৃণমূলকে দিতে হবে।
হুমায়ুন কবীর বলেন, “বাইরে থেকে খেলোয়ার বা কলকাতা থেকে গায়ক উড়িয়ে এনে অধীর চৌধুরীকে পরাজিত করা যাবে না, এটা প্রমাণিত।” অর্থাৎ হুমায়ুন কবীর তাঁর বক্তব্যে বুঝিয়ে দিয়েছেন, বহরমপুরে দল যাঁকে প্রার্থী করেছে সেই ভারতীয় ক্রিকেটার প্রার্থী ইউসুফ পাঠানকে তাঁর পছন্দ নয়। এমনিতেই অধীর রঞ্জন চৌধুরীর বিরোধী গোষ্ঠী হিসাবেই কংগ্রেসে থাকাকালীন হুমায়ুন কবীরের পরিচিতি ছিল। অধীরের বিরোধীতা করেই হুমায়ুন কবীর কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে এসেছেন। তবে তৃণমূলে এসে তিনি হালে পানি পাচ্ছেন না। এর আগেও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নবজেয়ার যাত্রার সময় বেসুরো গাইছিলেন হুমায়ুন কবীর। তবে তাঁর সেই ক্ষোভ প্রশমন হয়েছে। তবে ফের বহরমপুরে ইউসুফ পাঠানকে প্রার্থী করার পর হুমায়ুনের নিজেকে বঞ্চিত মনে হচ্ছে, তাই তিনি এক অধীর রঞ্জন চৌধুরীর জয়কে নিশ্চিত বলে আগাম মুখ খুললেন।
এদিকে এই প্রসঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস মুখপাত্র সৌম্য আইচ রায়কে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, “তৃণমূল দলটা এমন যে বহরমপুরে দলের কাউকে প্রার্থী হিসাবে নির্ভর করতেই পারল না। হুমায়ুন কবীর যা বলেছেন সেটা সত্যি, তিনি মাটির সঙ্গে কাজ করেন। তাই তিনি জানেন বহরমপুরের মাটি কি চাইছে। তাই তিনি ঠিকই বলেছেন। আসলে তৃণমূল তার দলের কর্মীদের বিশ্বাস করে না, তাই বাইরে থেকে খেলোয়ার এনে অধীরবাবুর বিরুদ্ধে প্রার্থী করেছে। কেন অধীরবাবুতো বলেছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হিম্মত থাকলে তাঁর বিরুদ্ধে ভোটে দাঁড়ান। অধীরবাবু নলেছিলেন তাঁকে পরাজিত করতে পারলে তিনি রাজনীতি ছেড়ে দেবেন। কই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো সেটা করলেন না। আসলে অধীরবাবুর বিরুদ্ধে প্রার্থী না পেয়ে ইউসুফ পাঠানকে বাইরে থেকে বহরমপুরে এনে প্রার্থী করা হয়েছে।” এখন দেখার, বহরমপুর নিজের হাতে অধীর রঞ্জন চৌধুরী ধরে রাখতে পারেন কি না।