মহানগর ডেস্ক : ব্যারাকপুরে তৃণমূূলের প্রার্থী পার্থ ভৌমিকের বিরুদ্ধে তিনিই বিজেপি প্রার্থী, এই কথাটা সোমবার ইঙ্গিতে স্পষ্ট করলেন তৃণমূলের অভিমানী নেতা অর্জুন সিং। অর্জুন সিংয়ের অফিস মজদুর ভবন থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি সরিয়ে দেওয়া হল। তবে তিনি কবে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন? এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “অপেক্ষা করুণ, শীঘ্রই জানতে পারবেন।”
অর্জুন সিং এদিন বলেন, “তৃণমূলে আমি আনওয়ান্টেড, ব্যারাকপুরে ওয়ান্টেড। আমায় তৃণমূলের দরকার নেই। আমাকে বেইজ্জত জরা হল। আমি আশা করিনি। আমি ব্যারাকপুরকে চেয়েছিলাম। এখানকার মানুষ আমায় চেনে। আমার দেড় বছর নষ্ট করা হল। প।ল্যাননজরে আমাকে ডিপ্রাইভ করা হল। আমি যখন দলে আসি আমায় বলা হল ব্যারাকপুরে প্রার্থী করা হবে। পাঁচবার পরীক্ষা নিল, তারপরও প্রার্থী করল না। শীঘ্রই জানতে পারবেন আমি তৃণমূলে আছি কি নেই”, সোমবার এই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন অর্জুন সিং। অর্জুন এদিন বলেন, ” পাঁচ বছর ব্যারাকপুরে কাজ করেছি। এখানকার একটা মানুষ বলতে পারবে না আমি তৃণমূলের পিছনে কাঠি করেছি। আমি যার উপর ভরসা করে এসেছিলাম দল আমার সঙ্গে সেই ব্যবহার করল না। তাই আমার দলের উপর ভরসা নেই।”
অজুন সিং তাঁর কথায় বুঝিয়ে দেন তিনি তৃণমূল ছাড়ছেন। তিনি বলেন, “ববি হাকিম আমায় ফোন করেছিলেন, ললিপপ দিতে চাইছে, একটি বিধানসভায় প্রার্থী করতে প্রস্তাব দিয়েছে। আমি ব্যারাকপুরের মানুষের পাশে থেকে কাজ করতে চেয়েছিলাম। ব্যারাকপুরের মানুষ পার্থ ভৌমিক ভার্সের অর্জুন সিং দেখতে চায়। যে ভাবে শেষ মুহূর্তে আমার গলা কাটা হল দু’জন বিধায়য়ককে দিয়ে তাতে এই বিষয়টা এখন পরিস্কার হয়ে গেছে। সময় হলেই সবটা জানতে পারবেন।” অর্জুনের মুখে এদিন নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসা শোনা গেল। তিনি বললেন, “আমি যখন বিজেপি সাংসদ তখন সপ্তাহে একদিন সাংসদদের নিয়ে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলতেন, মানুষের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করতে হবে। জীবনটা ছোট, কতদিন বাঁচবেন ৮০/৯০ বছর। এসব তৃণমূলে নেই। তৃণমূলে এসে অনেক কিছু শিক্ষা নিলাম। আমি দেখলাম এই বিষয়ে আমার চাইতে আমার ছেলে বেশি দুরদর্শী। সে আমায় বলেছিল, তোমায় ওরা টিকিট দেবে না। আমার ছেলের কথাই ঠিক হল। হ্যাঁ আমার ভুল হয়েছে। তৃণমূলের কাছে আমি আনওয়ান্টেড।”