মহানগর ডেস্ক : জাতীয় নির্বাচন কমিশনারের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন অরুণ গোয়েল। তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে ইস্তফা পত্র জমা দিয়েছেন, তা গৃহীতও হয়েছে। তবে কী কারণে অরুণ গোয়েল ইস্তফা দিলেন তা এখনও অজানা। এমনিতেই জাতীয় নির্বাচন কমিশনার পদে দুজন থাকার কথা এবং অপর একজন জাতীয় মুখ্য নির্বাচন কমিশনার থাকার কথা। আগেই একজন নিবাচন কমিশনারের পদ ফাঁকা ছিল। এবার অরুণ গোয়েল ইস্তফা দেওয়ায়র ফলে জাতীয় মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমারই শুধু রইলেন। নির্বাচনের মুখে এটা একটা বড় সমস্যা বলে মনে করছেন সংবিধান বিশেষজ্ঞরা।
লোকসভা ভোট ঘোষণার এখন মাত্র কয়েকদিন বাকি। এই সময় অরুণ গোয়েলের পদত্যাগ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। কী কারণে এই পদত্যাগ এখনও পর্যন্ত সেটা জানা যায়নি। তবে সূত্রের খবর, অরুণ গোয়েলের ইস্তফাপত্র গ্রহণ করেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। অর্থাৎ এই মুহূর্তে জাতীয় নির্বাচন কমিশনে শূন্য পদের সংখ্যা ১ থেকে বেড়ে দাঁড়াল ২। এর আগে ২০১৯-এ তৎকালীন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরার সঙ্গে মত বিরোধের কারণে পদত্যাগ করেছিলেন অশোক লাভাসা। এবার পদত্যাগ করলেন অরুণ গোয়েল। প্রসঙ্গত, সাতদিন আগেই কলকাতায় এসেছিলেন নির্বাচন কমিশনার অরুণ গোয়েল। ভোটের আগে রাজ্যে এসেছিল কমিশনের ‘ফুল বেঞ্চ’। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমারের সঙ্গে অরুণ গোয়েলও তখন ছিলেন। তাঁর শীঘ্রই কাশ্মীর যাওয়ার কথা ছিল। তার মধ্যেই আচমকা ইস্তফা দিলেন অরুণ গোয়েল। তাঁর ইস্তফা গৃহীতও হয়েছে।
নিয়ম হল দেশে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার-সহ মোট তিন জন নির্বাচন কমিশনার থাকতে হয়। এত দিন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার এবং নির্বাচন কমিশনার অরুণ গোয়েলই সব দায়িত্ব সামলে আসছিলেন। তৃতীয় পদটি ফাঁকাই ছিল, কারণ আগেই ইস্তফা দেন অশোক লাভাসা। অরুণ গোয়েল নির্বাচন কমিশনারের পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার ফলে এখন জাতীয় নির্বাচন কমিশনারের দুটো পদই শূন্য হয়ে গেল। তার মানে, এখন ‘ফুল বেঞ্চ’ বলতে শুধু মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমারই রইলেন। অতীত বলছে, গত লোকসভা ভোটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধি ভঙ্গের অভিযোগের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে অস্বীকার করেছিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা এবং আরও এক নির্বাচন কমিশনার সুনীল চন্দ। তৎকালীন নির্বাচন কমিশনার অশোক লাভাসা প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পক্ষপাতী ছিলেন। তা নিয়ে বিরোধের জেরে চাপের মুখে সেই সময় অশোক লাভাসা জাতীয় নির্বাচন কমিশনার পদ থেকে পদত্যাগ করে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কের চাকরিতে যোগ দেন। কমিশনে থাকলে এখন তিনিই হতেন দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। তাহলে কী আবারও এমন কোনও মতপার্থক্যের জেরেই জাতীয় নির্বাচন কমিশনার পদে ইস্তফা দিলেন অরুণ গোয়েল? সেই প্রশ্নের উত্তর এখনও অজানা!