মহানগর ডেস্ক: জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে নিয়ে আলোচনার কোনো শেষই নেই।তার মধ্যেই উঠে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য।প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমানের হাতে রাজ্যের একাধিক সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির চাবিকাঠি। ইডির তদন্তে উঠে এসেছে বহু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। তথ্য অনুযায়ী অভিযোগ,সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির তালিকায় নিজেদের ইচ্ছামতো ভুয়ো কৃষকদের নাম ঢোকানো হত।এমনকী,বাকিবুর সমিতিগুলির আইডি ও পাসওয়ার্ডও জানতেন!
বাকিবুরের কাছ থেকে একটি ‘রেজিস্ট্রার বুক’ বা তথ্য নথিভুক্তকরণের খাতা বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। কোন ডিস্ট্রিবিউটরের কাছে কত পরিমাণ রেশন সরবরাহ করা হত, তার হিসাব ওই খাতায় রয়েছে। সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেই খাতাতেও তথ্য গোপন করা হয়েছে কি না, খুঁটিয়ে পরীক্ষা করে দেখছেন ইডি আধিকারিকেরা। তবে বাকিবুরের প্রত্যেকটি চালকলই রাজ্য সরকারের নথিভুক্ত ছিল।এই মিলগুলিতে রেশনের চাল আসত।আর তদন্তের পর এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট আধিকারিকরা এই ব্যাপারে সম্পূর্ণ নিশ্চিত।রেশন বণ্টনে দুর্নীতির পরিমাণ একশো কোটিও ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে মনে করছে ইডি।
ইডি সূত্রে খবর, রেশনের খাদ্যসামগ্রী সরবরাহ করার সময়ে তা নিয়ে নয়ছয় করতেন বাকিবুর এবং তাঁর সহযোগীরা। এই চক্রে অনেকে যুক্ত আছেন। এমনকি, রেশন ডিস্ট্রিবিউটরেরাও কেউ কেউ দুর্নীতিতে জড়িত। তাঁদের কাছ থেকে যত বস্তা গম চাওয়া হত, তার চেয়ে ৩০-৪০ শতাংশ কম সরবরাহ করতেন তাঁরা। ওই পরিমাণ গম নিজেরা আত্মসাৎ করতেন। রেশন ডিলার এবং ডিস্ট্রিবিউটরেরাও এ ভাবে লাভবান হতেন।শুধু তাই নয় ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমান গ্রেফতার হওয়ার পর তাঁর একাধিক চালকল ও গমকলে তল্লাশি চালানো হয়। বেশ কয়েক জন আধিকারিকও এই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।