Home Kolkata নিয়োগ দুর্নীতি মামলা দ্রুত শেষ করতে চায় হাই কোর্ট

নিয়োগ দুর্নীতি মামলা দ্রুত শেষ করতে চায় হাই কোর্ট

by Mahanagar Desk
58 views

মহানগর ডেস্ক : নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে কড়া পর্যবেক্ষণ দিল কলকাতা হাই কোর্ট।নিয়োগ মামলার শুনানিতে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী মন্তব্য করেন, যাঁরা দুর্নীতিগ্রস্ত, তাঁদের দ্রুত সাজা দেওয়া প্রয়োজন। তা না হলে বিচারব্যবস্থা অর্থহীন হয়ে পড়বে। দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া বা ট্রায়াল শুরুর বন্দোবস্ত করার জন্য সিবিআইকে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে তিন সপ্তাহের মধ্যে আদালতে রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন ।

সোমবার কলকাতা হাই কোর্টে রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত কুন্তল ঘোষ এবং নীলাদ্রি সাহার জামিনের আবেদনের শুনানি ছিল। তাঁদের জামিনের আর্জি এদিন মঞ্জুর করা হয়নি। ওই মামলা সংক্রান্ত তদন্তের রিপোর্ট সিবিআইয়ের কাছে চেয়েছে আদালত। এদিন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, তিন সপ্তাহ পরে এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। তার মধ্যে সিবিআইকে ওই দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে তদন্তের রিপোর্ট আদালতে জমা দিতে হবে।

কেন এখনও নিয়োগ মামলায় ট্রায়াল শুরু করা যায়নি? এই প্রশ্ন তুলে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে হাই কোর্ট। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এদিন মন্তব্য করেন, ‘‘ট্রায়াল শুরু করে অভিযুক্তদের সাজা না দিলে পুরো বিষয়টি হাস্যকর হয়ে যাবে। মানুষের মন থেকে ওই দুর্নীতি আবছা হয়ে যাবে। এই প্রতিষ্ঠানের প্রচেষ্টা কোনও কাজে লাগবে না।’’ সিবিআই নিয়োগ মামলার চার্জশিট পেশ করলেও আরও কিছু তদন্ত বাকি আছে বলে আদালতে জানিয়েছেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। তখনই বিরক্তি প্রকাশ করেন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী। সিবিআইয়ের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘কেন আপনারা দ্রুত ট্রায়াল শুরু করছেন না? সাজা ঘোষণা না হলে একটি দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে। জাপান, সিঙ্গাপুর অনেক উন্নত দেশ। তারা দুর্নীতির বিরুদ্ধে দ্রুত সাজা ঘোষণা করে। এ ক্ষেত্রে দুর্নীতি প্রতিষ্ঠিত হলে কেন ট্রায়ালই শুরু করা যাচ্ছে না?’’

বিচারপতির জয়মাল্য বাগচীর প্রশ্নে সিবিআইয়ের আইনজীবী অমাজিৎ দে জানিয়েছেন, চার্জশিট পেশ করা হয়েছে। অতিরিক্ত চার্জশিটও দেওয়া হয়েছে। তদন্তের সামান্য কিছু অংশ এখনও বাকি রয়েছে। সেটি দ্রুত সম্পূর্ণ করা হবে। আদালতে জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন কুন্তল। তাঁর আইনজীবী বলেন, ‘‘আমার মক্কেলের বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। ছ’জনের চাকরির বিনিময়ে চার কোটি টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু তাঁর কাছ থেকে কোনও টাকা উদ্ধার হয়নি।’’

অন্য দিকে আর এক অভিযুক্ত নীলাদ্রির আইনজীবী বলেন, ‘‘আমার মক্কেলের বিরুদ্ধে দু’লাখ টাকা নেওয়ার অভিযোগ ছিল। সেই টাকা ইতিমধ্যে ফেরত দেওয়া হয়েছে।’’ এই প্রসঙ্গে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর পর্যবেক্ষণ, কে কত টাকা নিয়েছে, সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। অপরাধ হয়েছে কি না, আদালত তা দেখতে চায়। আর্থিক অপরাধের তদন্ত করছে ইডি। টাকার বিষয়টি তারাই জানাবে। যে টাকা দিয়েছে তেমন একজন সাক্ষীকে আদালতে হাজির করলেই তো হয়।

You may also like