মহানগর ডেস্ক : হাই কোর্টের স্থগিতাদেশের জন্যই শেখ শাহজাহানকে রাজ্য পুলিশ গ্রেফতার করতে পারছিল না। আদালত স্থগিতাদেশ তুলে নিলে পুলিশ মিনাখা থানার বানমপুকুর থেকে শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করে বলে বৃহস্পতিবার মিনাখা থানায় সাংবাদিক সম্মেলন করে দাবি করেন এডিজি আইনশৃঙ্খলা সুপ্রতীম সরকার। সুপ্রতীম সরকারের এই বক্তব্যের সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য হুবহু মিলে গেল।
এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, শেখ শাহজাহানের নামে ২/৩ বছর আগের ঘটনার ভিত্তিতে ঘটা ঘটনার ভিত্তিতে মামলা হয়। সেই মামলার তথ্য সংগ্রহে সময় লাগে। অথচ যে ঘটনা ৫ জানুয়ারি ইডি আধিকারিকরা আক্রান্ত হয়, সেখানে আমরা তদন্ত করতে পারতাম, তবে আদালতের স্থগিতাদেশ থাকায় আমরা তা করতে পারিনি। তারপর আদালত স্থগিতাদেশ তুলে নেওয়ার পর আমরা মিনাখা থেকে শেখ শাহকাহানকে গ্রেফতার করি। আমরা শেখ শাহজহানকে পুলিশি হেফাজতে চাইবো। তবে পুলিশ শেখ শাহজহানকে গ্রেফতার করছে না, এই অভিযোগ ভিত্তিহীন। ইডি কেন গ্রেফতার করেনি?”
এদিকে সন্দেশখালির প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক নিরাপদ সর্দারের ক্ষেত্রে আগে এফআইআর পরে অভিযোগের ঘটনাকে “অনিচ্ছাকৃত ভুল”, ভুল বলে সুপ্রতীম সরকার দাবি করেন। সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারা জারি এবং বিরোধীদের সেখানে ঢুকতে না দেওয়া নিয়ে সুপ্রতীম সরকার বলেন, “কোনও কোনও নেতা এমন কথা বলছেন যাতে সম্প্রীতি নষ্ট হতে পারে তাই তাঁদের বলছি, এমন কিছু বলবেন না যাতে সম্প্রীতি নষ্ট হয়, এই কারণেই ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।” শেখ শাহজাহান ৫ জানুয়ারি ইডির উপর হামলায় মূল অভিযুত বলে জানালেও সুপ্রতীম সরকার জানানি কতদিনের পুলিশি হেফাজতে তাকে পুলিশ চাইবে এবং কোন কোন ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে সেটা আদালতে জানানো হবে বলেই সুপ্রতীম সরকার সাংবাদিকদের জানিয়ে দেন।