মহানগর ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের আগে ফের বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন রাজ্যের প্রাক্তন বিজেপি সভাপতি দীলিপ ঘোষ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাবা নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন তিনি। যা নিয়ে কেন্দ্রের রোষের মুখে পড়তে হয়েছে। মমতাকে কুকথা বলায় দিলীপ ঘোষকে শোকজ করেছে দল। যে মন্তব্য তিনি করেছেন অনেকেই তীব্র নিন্দা করেছেন। এখনেই শেষ নয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডার কথা উল্লেখ করে সর্বভারতীয় বিজেপি চিঠি দিয়ে দিলীপ ঘোষকে শোকজ করেছে। সেই বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য এবার ক্ষমা চাইলেন দীলিপ ঘোষ। তবে সেই সঙ্গেও আরও বেশ কিছু কথা বলেছেন। যা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে নতুন করে।
মমতাকে নিয়ে মন্তব্য প্রসঙ্গে এদিন সংবাদ মাধ্যমের সামনে বিজেপি নেতা বলেছেন, “আমার বক্তব্য নিয়ে বিতর্ক প্রথমবার নয়,যারা ভনিতা করে অন্যায় করে তাঁর সম্বন্ধে আমি বলি। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আমার কোনও ব্যক্তিগত বিবাদ নেই। তাঁর সম্বন্ধে আমার মনে কোনও ক্লেশ নেই, কোনও দূর্ভবনা নেই। উনি বার বার যে রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়ে লোককে বিভ্রান্ত করেছেন আমি তার প্রতিবাদ করে প্রশ্ন করেছি।” তিনি আরও বলেন, “আমার ভাষা, শব্দ প্রয়োগ নিয়ে বহু লোকের আপত্তি আছে। আমার পার্টিও বলেছে। যদি তাই হয় তাহলে আমি তার জন্য দু:খিত।”
এর পরেই ফের তিনি বোমা ফাটিয়েছেন। ক্ষমা চাইলেও তাঁর নিশানায় ছিল মুখ্যমন্ত্রীই। বিরোধী দলনেতাকে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর মমতার বক্তব্য নিয়েও তুলোধনা করেছেন। ক্ষমা চেয়েও প্রশ্ন তুলে বলেছেন, “কিন্তু আমার প্রশ্ন মুখ্যমন্ত্রীরই পার্টির এক নেতা, তাঁরই পরিবারের এক নেতা কাঁথিতে দাঁড়িয়ে আমার দলের বিধায়কের বাবার নামে এর চেয়েও খারাপ ভাষা প্রয়োগ করেছেন। গালাগাল দিয়েছেন। যিনি একজন বরিষ্ঠ নেতা। তাঁর কোনও মানসম্মান নেই? যাঁদের সুবিধা এরা নিয়েছে তাঁকে নিয়ে যা নয় তাই বলছে। তাঁদের কোনও মান-সম্মান নেই? তখন কেন তাঁদের দলের পক্ষ থেকে কোনও স্টেটমেন্ট দেওয়া হয় না? আমি রাজনৈতিক বক্তব্য রেখেছি। শুভেন্দু অধিকারী পুরুষ বলে তাঁর সন্মান নেই? কেন মহিলা বলে তাঁর সম্মান নিয়ে প্রশ্ন উঠবে? দলকে চিঠির অফিসিয়াল উত্তর আমি দেব।”