মহানগর ডেস্ক : বাড়ি থেকে বিজেপিতে যোগ দিতে যাওয়ার পথে প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “একটা সর্বভারতীয় দলে যোগ দিতে যাচ্ছি, অত্যন্ত ভালো লাগছে। দল যে দায়িত্ব দেবে তা নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করব।” নিজেপিতে যোগদানের পর বলেন, “বাংলা থেকে একটা দুর্নীতিগ্রস্থ দলকে অপসারিত করার লড়াই লোকসভা থেকে শুরু হল। ২০২৬ এর নির্বাচনে এই দুর্নীতিগ্রস্থ দলটিকে রাজ্যের ক্ষমতা থেকে অপসারিত করতে হবে।”
এর পরই সল্টলেকের বিজেপি দফতরে প্রবেশের কিছুটা আগে অভিজিৎবাবুকে গাড়ি থেকে নামিয়ে হাঁটিয়ে বিজেপি দফতরে নিয়ে আসা হয়। তখন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের উপর পুষ্পবৃষ্টি করা হয়, শংখধ্বনি করা হয় তাঁকে অভিবাদন জানাবার জন্য। বিজেপির সল্টলেক অফিসে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের যোগদানের প্রারম্ভিক ক্ষণে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “আজ একটা মহা সন্ধিক্ষণ। জাস্টিস গাঙ্গুলিকে আমরা ইলেকটোরাল পলিটিক্স এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যবহার করব।” শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “এই রাজ্যের সাধারণ মানুষের মেরুদন্ড সোজা করে দাঁড়াবার জন্য বেকার যুবকদের সোচ্চার কন্ঠস্বরকে যিনি তুলে ধরেছেন সেই অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় মেদীজির আদর্শে অনুপ্রানিত হয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন, তাঁকে স্বাগত। বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এই ধরণের মানুষের রাজনীতিতে আসা অত্যন্ত জরুরি। তিনি অনেকদিন আগে থেকেই বিরোধীতার, সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছেন। তাঁর হাত থেকে মামলা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। তিনি ইতিমধ্যেই অমিত শাহর কাছ থেকে প্রেরণা ও অভিনন্দন পেয়েছেন। ওনার এই যোগদানের মাধ্যদিয়ে বাংলা থেকে পিসি-ভাইপোর শাসন মুক্ত করতে বিজেপি আরও সক্রিয় ভাবে এগিয়ে যাবে। জাস্টিস গঙ্গোপাধ্যায় হলেন প্রতিবাদের মুখ।”
সুকান্ত মজুমদার মঙ্গল পাণ্ডের বক্তব্যের পর অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের গলায় বিজেপির উত্তরীয় পরিয়ে দেন এবং প্রাক্তন জাস্টিসের হাতে বিজেপির পতাকা তুলে দেন। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বিজেপিতে যোগদান করে বলেন৷ “আজ আমি একেবারে একটা নতুন জগতেনপা দিলাম। এই সর্বভারতীয় দলে যেখানে ৃহান নেতা নরেন্দ্র মোদী অমিত শাহরা আছেন। শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদারের পরামর্শ আমার সব সময় লাগবে। আমি তাঁদের নির্দেশ পালন করে কাজনকরব। আমাদের প্রধান লক্ষ্য পশ্চিমবঙ্গ থেকে একটা দুর্নীতিগ্রস্থ দল ও সরকারকে অপসারিত করার সূচনা হবে লোকসভা ভোটের মাধ্যমে, যাতে ২০২৬ সালে এই দুর্নীতিগ্রস্থ দলটি আর রাজ্যে ক্ষমতায় আসতে না পারে।” এদিকে আজই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে সুবিধাবাদী বলা এবং নারী দিবস উপলক্ষে পদযাত্রা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “কে সুবিধাবাদী সেটা কিশানজি সব থেকে ভালো জানেন। যিনি অটল বিহারী বাজপেয়ী, লালকৃষ্ণ আদবানীর হাত ধরে যাঁর রাজনীতিতে প্রবেশ তিনি আজ নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহকে হোদলকুতকুত বলেন। উনি নারী দিবসের মিছিল করলে সন্দেশখালিতে গিয়ে করতে পারতেন। বাংলায় নারীরা নিরাপদ নয়। তবে এদিন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সাংবাদিকদের কোনও প্রশ্নের উত্তর দেননি।