মহানগর ডেস্ক : শোকজের চিঠি পাওয়ার পরই কুণালকে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কুণালকে ফোন করে চা খাওয়ার আমন্ত্রণ। কুণালের গলায় এর পরেই ভিন্ন সুর। বললেন, “আমি শোকজের চিঠি পড়িনি। গান শুনছিলাম। সকাল থেকে ব্যস্ত ছিলাম। খিদে পেয়েছিল, খাচ্ছিলাম। ৯৯৯টির বেশি হেয়াটসঅ্যাপ মেসেজ এসেছে, পড়িনি। গান শুনছিলাম।” এর পরই কুণাল ঘোষ গেয়ে ওঠেন হসরাত জয়পুরীর লেখা মহম্মদ রফির সেই বিখ্যাত গান, “ইয়ে মেরা প্রেম পত্র পড় কর….।
তারপর কুণাল ঘোষ বলেন, ” সুদীপদা আমায় আজ সন্ধ্যা ৭টায় তাঁর বাড়িতে চা খেতে ডেকেছেন। আমি যবো। সুদীপদা দলের সিনিয়ার নেতা, জেলার নেতা, আমি যাবো। নয়নাদি আমায় পুজোর পর গেলে নাড়ু খাওয়ান। বৈঠকে আমায় কেন ডাকা হয়নি সেই প্রসঙ্গে সুদীপদা আমায় বলেছেন, তিনি কর্মীদের দিয়ে আমায় বৈঠকের চিঠি পাঠিয়েছিলেন, চিঠিটা আমি পাইনি সেই কারণে।”
তবে কেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় হেয়াটসঅ্যাপে কুণালকে চিঠি পাঠাননি? এই প্রশ্নের উত্তরে কুণাল বলেন, “সুদীপদা সিনিয়ার নেতা। আমায় ডেকেছেন। আমি যাবো। তখন কথা হবে।” তবে এই কথা সোমবার কুণাল যখন বলছেন তার আগে তিনি সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিজেপির সঙ্গে, ইডির সঙ্গে সম্পর্ক রাখে, সুদীপকে কেন ইডি,সিবিআই গ্রেফতার করছে না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে কুৎসিত ভাষায় সুদীপকে কটাক্ষ করেন। তবে সেই কুণাল সুব্রত বক্সীর সই করা শোকজের চিঠি পেয়ে বললেন, “আমি শোকজের চিঠি পড়িনি। গান শুনছিলাম। সুদীপদা আমার দলের সিনিয়ার লিডার। আমায় চা খেতে ডেকেছেন। সুব্রত বক্সীর সঙ্গে আমার অন্য রকম সম্পর্ক। আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল করি।”
প্রসঙ্গত, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র ও লাগাামছাড়া ভাষায় সমালোচনা করার জন্যই কুণাল ঘোষকে দল শোকজ করেছে। অথচ কুণাল এখন এমন ভাব করছেন যেন তিনি সুদীপকে কিছুই বলেননি, তাঁদের মধ্যে কিছুই হয়নি। এই কারনেই বোধহয় রাজনীতিকে সম্ভাবনার খেলা বলা হয়!