মহানগর ডেস্ক : উত্তরবঙ্গের কাওয়াখলিতে নির্বাচনী প্রচারে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী “বাংলার মা, বাবা, ভাই, দাদু সবাইকে ভালোবাসা জানাই”, বলে বাংলায় অভিবাদন জানালেন। অনুষ্ঠানে আসতে বিলম্বের জন্য উপস্থিত দলীয় কর্মী-সমর্থকদের কাছে মার্জনা চাইলেন।”
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বললেন, “আমি এখানে রাস্তা দিয়ে আসার সময় মিনি ভারতকে দেখতে পেলাম। ভারতের বিবিধতা, বৈচিত্র এখানে যা দেখলাম তা সত্যিই কম দেখা যায়। প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন, “আন্তর্জাতিক নারী দিবসে গ্যাসের দাম মোদী কমিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার উজ্জলা যোজনার সুবিধা রাজ্যের ১৪ লক্ষ মহিলাদের নিতে দিচ্ছে না। ১০০ দিনের কাজের টাকা কেন্দ্র পাটাচ্ছে, তৃণমূল সেই টাকা নয়ছয় করছে। সন্দেশখালিতে মা, বোনেদের ইজ্জত লুঠ করছে। ইন্ডিয়া জোট বিকৃত ভারত গড়তে চায়। ভারতীয় জনতা পার্টি দেশের সব মানুষের স্বপ্ন সফল করতে চায়। তাই অযেধ্যায় রাম মন্দির হয়েছে, জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বাতিল করেছি। আনাদের গোর্খা ভাইদের দাবির প্রতি বিজেপি সব সময় সহানুভূতিশীল। বিজেপি আপনাদের স্বার্থের জন্য সর্বদা প্রয়াস জারি রেখেছে। উত্তরবঙ্গের জন্য টি, ট্যুরিজম, টিম্বার বিষয়ে আমাদের সরকার দায়বদ্ধ। বিজেপি ছোট কৃষকদের যে ভাবে বিমার আওতায় এনেছে তেমন ভাবে চা বাগানের শ্রমিকদের স্বার্থ সুরক্ষিত করার জন্য নিরন্তর কাজ করছে। যার ফলে গত ১০ বছরে ২৫ কোটি গরিবকে গরিবি থেকে মুক্তি দিয়েছে মোদীর সরকার।”
তৃণমূল-কংগ্রেস-বাম জোুের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এরা পরস্পর বিরোধী দ্বন্দ্বে রত। আপনাদের সন্তানদের জন্য এরা ভাবে না। বিজেপি আপনাদের সন্তানদের জন্য ভাবে, এনডিএ ভাবে। তাই সারা দেশের মানুষ হচ্ছে মোদীর পরিবার। আপনারা জন্য শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ির জন্য চওড়া রাস্তা, রেলের সুব্যবস্থা করেছি। আগামী ৫ বছরে আরও আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তুলব। তৃণমূল বাংলায় আয়ুষ্মান প্রকল্প আটকে দিয়েছে। তাই বাংলার প্রতিটি কোনায় কেনায় আওয়াজ তুলুন এই বার ৪০০ পার। শপথ নিন উত্তরবঙ্গের সবকটি নির্বাচনী বুথে পদ্ম ফুল ফোটাবো। আমি আপনাদের সবার ঘরে ঘরে প্রণাম জানাচ্ছি।” এরপর নরেন্দ্র মোদী সবার মোবাইল ফোনে ফ্ল্যাশ লাইট জ্বালিয়ে ঐক্যবদ্ধ ভারত গড়ার ডাক দিলেন। এই সভা থেকে একদিকে তৃণমূলকে সন্দেশখালি ও দুর্নীতি ইস্যুতে যেমন বিঁধলেন তেমনই বাম-কংগ্রেস-তৃণমূলের ইন্ডিয়া জোটকেও কটাক্ষ করলেন। এদিন প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে করমর্দন করলেন।