মহানগর ডেস্ক: ভোট যত এগিয়ে আসছে ততই মমতার পুলিশ হামলা চালাচ্ছে। ভূপতিনগরে গিয়ে আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে দেখা করে এমনটাই অভিযোগ করছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আক্রান্তদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করে কথাও বলেন। একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্যও বলেছেন।
সাম্প্রতিক ঘটনার কথা উল্লেখ করে শুভেন্দু দাবি করেন যে বিজেপি কর্মীদের অন্যায়ভাবে লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে এবং মিথ্যা অভিযোগে গ্রেফতার করা হচ্ছে। ভূপতিনগর এবং দীঘায় ঘটনার পুনরাবৃত্তি অসন্তোষ ও প্রতিবাদের ব্যাপক প্রকৃতিকে নির্দেশ করে বলেই জানিয়েছেন বিজেপি নেতা। ক্ষতিগ্রস্ত বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে শুভেন্দুর পরিদর্শন এবং তাদের পরিবারের সাথে কথোপকথনের উদ্দেশ্য এই কথিত অবিচারের মানবিক প্রভাব তুলে ধরা। এমটাই বলছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ৷ বিরোধী দলনেতাকে সামনে পেয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন নিগৃহীতারা। এক মহিলাকে শুভেন্দু জিজ্ঞাসা করলেন বলেন, “আপনার স্বামী কী দোষ করেছেন?” মহিলা জানান, “আমার স্বামীর একটাই দোষ। বিজেপি করে। বাড়িতে এসে তুলে নিয়ে গেল, আমাকে রুখে দাঁড়িয়েছিলাম। তখন আমাকে ওই ছেলে পুলিশগুলোই বলল, তোর স্বামীকে না পেলে তোকেই তুলে নিয়ে যাব?” শুভেন্দু তখন জিজ্ঞাসা করেন, “কোন পুলিশ? ওই গোপলা?” গোপাল নামে স্থানীয় কোনও পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন মহিলা। গ্রামে অত্যাচারের উল্লেখ এবং দীঘায় গণধর্ষণের একটি পৃথক অভিযোগ সরকারের ব্যর্থতা এবং আইন প্রয়োগকারীর অসদাচরণের বর্ণনাকে আরও তীব্র করে তোলে।
প্রসঙ্গত, রাজনৈতিক অস্থিরতার চিত্র তুলে ধরে, বিরোধী দল রাজ্য সরকার এবং পুলিশ দ্বারা সংঘটিত অনুভূত অবিচারের বিরুদ্ধে সমাবেশ করে। মিথ্যা গ্রেপ্তার এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ উত্তেজনা বাড়ায় এবং জনসাধারণের ক্ষোভকে জ্বালাতন করে, এই অঞ্চলে খেলার জটিল এবং বিতর্কিত গতিশীলতা তুলে ধরে। এর পরেই মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে বলেছেন, ” মমতাকে প্রাক্তন করে তবেই বিশ্রাম নেব।”