মহানগর ডেস্ক : কলকাতা হাই কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এখন বঙ্গ রাজনীতির এক নতুন নায়ক। রাজনীতির ময়দানে এই নতুন খেলোয়াড়কে “রকবাজ”, “দুনম্বরি” তৃণমূলের আক্রমণ। সাংবাদিক সম্মেলন করে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের আইনিশিক্ষা নিয়েও প্রশ্ন তুলল রাজ্যের শাসকদলের দুই নেতা কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কুণাল ঘোষ। এই দুই তৃণমূল নেতা পালটা চ্যালেঞ্জও ছুড়ে দিলেন মঙ্গলবার সদ্য প্রাক্তন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতিকে।
মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলনের শুরুতেই অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের স্বচ্ছ ভাবমূর্তিকে নিশানা করেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। কুণালের অভিযোগ, “দুর্নীতির সঙ্গে আপোস করেছেন প্রাক্তন বিচারপতি। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তিনি রায় দিতেন। নিজের রায়কে হাতিয়ার করেই তিনি বিজেপিতপ যোগ দিচ্ছেন।” এর পরই তাঁর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগও আনেন কুণাল ঘোষ। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় মঙ্গলবার নিজের সাংবাদিক সম্মেলনে অভিজিৎ দাবি করেন, কীভাবে বিচার করতে হয় তা তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন। এবার বাকি বিচারকরা ঠিক করবেন, তাঁকে রোল মডেল করবেন নাকি অন্যপথে চলবেন। তাঁর এই মন্তব্যের পালটা কুণালের দাবি, নিজের ইমেজ বিল্ডিং করতে অন্য বিচারকদের অপমান করছেন অভিজিৎ। পাশাপাশি কুণাল বললেন, “সিপিএম, কংগ্রেস অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে চিনতে পারেনি, তৃণমূল প্রথমদিন থেকেই অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে চিনতে পেরেছিল, তাই আক্রমণ করেছে।”
তৃণমূলের আইনজীবী সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন কলকাতা হাই কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতিকে “দুনম্বরি” বলে কটাক্ষ করেন। কল্যাণের দাবি, “এজলাসে বসে একেবারে রকবাজের ভাষায় কথা বলতেন। নিজের ইচ্ছে মতো কাজ না হলে যাকে যা খুশি বলতেন। নিজের মর্জিমাফিক কাজ করাতেন।” এর পর আরও একটু সুর চড়িয়ে কল্যাণ বলেন, “এক বার সিবিআইয়ের দলকে নিজের বাড়িতে ডেকে পাঠিয়েছিলেন অভিজিৎ। দলে একজন স্বামী-স্ত্রী ছিলেন। তাঁদের নির্দেশ দিয়েছিলেন, মমতা-অভিষেককে গ্রেপ্তার করতে বলেছিলেন। তারা রাজি না হওয়ায় তদন্তকারীদের দল থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।” তবে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এদিন তাঁর সাংবাদিক সম্মেলনে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষা, শিক্ষা এবং তৃণমূল মুখপাত্রর যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।