মহানগর ডেস্ক : তৃণমূল ছাড়লেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ও তৃণমূলের রাজ্য মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। বেরিয়ে গেলেন তৃণমূলের সমস্ত হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে। ছেড়ে দিলেন সরকারি নিরাপত্তা।বৃহস্পতিবার রাত ১২টার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র হিসাবে নিজের নাম সরিয়ে শুধু সাংবাদিক এবং সমাজকর্মী পরুচয় প্রকাশ করেন কুণাল ঘোষ। এই ঘটনার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতে শুক্রবার দুপুরে তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক এবং তৃণমূলের রাজ্য মুখপাত্র পদ থেকে ইস্তফা দিলেন।দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইস্তফাপত্র পাঠিয়েও দিয়েছেন কুণালঘোষ।
নরেন্দ্র মোদি বাংলার মাটিতে একরাশ কুৎসা করে গেলেন।
যুক্তিতে তাঁকে ধুয়ে দেওয়া যায়।
কিন্তু ঘটনা হল তাঁর কড়া সমালোচনার মূল দায়িত্ব যাঁদের, দুটি আলাদা বিরোধী দলের লোকসভার দলনেতারা তো প্রধানমন্ত্রীরই লোক। এঁদের সঙ্গে বিজেপির যোগাযোগ। এই দুজনকে দুভাবে ব্যবহার করেন মোদি। একজনকে রোজ…— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) March 1, 2024
কেন কুণালের এই পদত্যাগ? এই নিয়ে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে কুণাল লেখেন, “আমি @AITCofficial এর রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র পদে থাকতে চাইছি না। সিস্টেমে আমি মিসফিট। আমার পক্ষে কাজ চালানো সম্ভব হচ্ছে না। আমি দলের সৈনিক হিসেবেই থাকব। দয়া করে দলবদলের রটনা বরদাস্ত করবেন না। @MamataOfficial আমার নেত্রী, @abhishekaitc আমার সেনাপতি, @AITCofficial আমার দল।”কেন কুণাল ঘোষ এই সিদ্ধান্ত নিলেন? তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে আজ কাঁথি ও তমলুকের প্রস্তুতি সভায় কুণাল ঘোষ ডাক পাননি। এই জেলার দায়িত্বে কুণাল ঘোষ আঋেন। এদিকে তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী শুক্রবার এই সভা পরিচালনা করছেন। কুণাল ঘোষ ডাক পাননি উত্তর কলকাতার তৃণমূলের প্রস্তুতি সভাতেও। এসব মানতে না পেরেই কুণাল ঘোষ তৃণমূলের দুই পদ এবং সরকারি নিরাপত্তা ছেড়েছেন বলে জানা যাচ্ছে তৃণমূল সূত্রে।
কুণাল ঘোষের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে জানা গিয়েছে, দলের হয়ে সব অপ্রিয় কথা তিনি বলবেন অথচ সব সুবিধা অন্যরা নেবেন, এটা মানতে না পেরেই কুণাল ঘোষ তৃণমূলের দুই পদ এবং সরকারি নিরাপত্তা ছেড়েছেন।
আজ বাংলায় এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র যে ভাবে তৃণমূলকে আক্রমণ করলেন তার জবাব একমাত্র যোগ্য জবাব দিতে পারতেন কুণাল ঘোষ, অথচ এদিন মোদীর সমালোচনার জবাব দিলেন জয়প্রকাশ মজুমদার এবং শান্তনু সেন। এদিকে মোদী যখন রাজভবনে সবে প্রবেশ করেছেন, ঠিক তার কাছাকাছি সময় বিকেল ৫টা ১১ মিনিটে কুণাল ঘোষ তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে জানিয়ে দিলেন তাঁর এই সিদ্ধান্তের কথা।এদিন বিকেলে মোদীর সমালোচনার জবাব কেমন করে দেওয়া উচিত এবং কেন সেটা দেওয়া গেল না সেই প্রসঙ্গে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে নাম না করে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে বিঁধে কুণাল লিখেছেন, “নরেন্দ্র মোদি বাংলার মাটিতে একরাশ কুৎসা করে গেলেন।যুক্তিতে তাঁকে ধুয়ে দেওয়া যায়।কিন্তু ঘটনা হল তাঁর কড়া সমালোচনার মূল দায়িত্ব যাঁদের, দুটি আলাদা বিরোধী দলের লোকসভার দলনেতারা তো প্রধানমন্ত্রীরই লোক। এঁদের সঙ্গে বিজেপির যোগাযোগ। এই দুজনকে দুভাবে ব্যবহার করেন মোদি। একজনকে রোজ ভ্যালি থেকে বাঁচিয়ে গলায় বকলস পরিয়ে রেখেছেন।”এখন দেখার মমতা এবং অভিষেক কুণালকে তাঁর পদে কখন আবার ফিরিয়ে নেন!