মহানগর ডেস্কঃ লোকসভা ভোটের টিকিট না পাওয়ায় আগেই নিজের অভিমান প্রকাশ করে ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছোট ভাই স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় ওরফে বাবুন। তিনি জানিয়েছিলেন বারংবার তাঁকে আশ্বাস দিলেও শেষ পর্যন্ত তাঁর কথা ভাবেনি দল। অভিমানী বাবুন জানিয়েছেন “দিদির যাঁরা বেশি কান ভাঙায় তাঁদের মধ্যে অনেকেই টিকিট পেয়েছেন।”এসবের মাঝেই বড় সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় ওরফে বাবুন।জানা যাচ্ছে হাওড়া থেকে তিনি এবার লোকসভা প্রার্থী হিসেবেই লড়বে, তবে একজন নির্দল প্রার্থী হিসেবে।
এ বিষয়ে রিঙই আরও বলেছেন, “আমি হাওড়া থেকে নির্দল হয়ে দাঁড়াতে চাইছি। তাও আমি দিদির সঙ্গে আলোচনা করব। দিদি যা বলবেন আমি অক্ষরে-অক্ষরে পালন করব।” এরপরেই প্রসূণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেন তিনি। বাবুনের অভিযোগ, হাওড়ার সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রসূণবাবুর তেমন সংযোগ নেই। সঙ্গে হাওড়ার সাধারণ মানুষের সংযোগ নেই।এই নিয়ে সাধারণ মানুষ থেকে মন্ত্রিমহলের অনেকেরই ক্ষোভ রয়েছে। স্বপন বলেন, “২০১৯ সাল থেকে চেয়েছিলাম উনি যেন হাওড়ায় প্রার্থী না হয়। অন্য যে কেউ হতে পারেন। ওইখানে তো অনেক ভাল ভাল মানুষ রয়েছেন। জনসংযোগ বিহীন সাংসদ না হওয়াই পার্টির পক্ষে ভাল। আমরা তৃণমূল কংগ্রেস দলটা করি তো তাই বুঝি।” সেই সাথেই তিনি কটাক্ষের সুর চড়িয়ে বলেছেন, “জনসংযোগ বিহীন মানুষের ভোট পাওয়া খুবই দুষ্কর হয়। হাওড়ার মানুষের সঙ্গে আমার যোগাযোগ হয়। ওইখানের সকলের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ভাল। অরূপ রায়, প্রিয়া পাল, কৈলাস মিশ্র অনেকেই আমায় অভিযোগ করেছেন।”
উল্লেখ্য, স্বপন ও প্রসণের মধ্যে এই দ্বন্দ নতুন কিছু নয়। এই দ্বন্দের সূত্রপাত হয়েছিল বছর চার-পাঁচেক আগে মোহনবাগান ক্লাবের জেনারেল মিটিং চলাকালীনই। ২০২২ সালে স্বপন তাঁর কালীঘাটের ৩০বি হরিশ চ্যাটার্জী রোডের ঠিকানা বদলে শিবপুরের ভোটার তালিকায় নিজের নাম তোলে। তারপর থেকেই কার্যত হাওড়ার মানুষের পাশে থাকাতে চেয়েছিলেন তিনি। তবে সে আশা পূরণ না হওয়ায় অভিমানী স্বপণ বন্দ্যোপাধ্যায় এখন পরবর্তীতে কোন সিদ্ধান্তের পথে এগোন এখন সেটাই দেখার।