মহানগর ডেস্কঃ অবশেষে দীর্ঘ দিনের টানাপোড়নের পর দেশে কার্যকর হয়েছে নাগরিক সংশোধনী আইন বা CAA।আর কেন্দ্রের এই নয়া সংশোধনী আইনকে কেন্দ্র করেই আসরে নেমেছেন বিরোধীরা। প্রায় সমস্ত রাজ্য এই আইনকে স্বাগত জানালেও একমাত্র বাম শাসিত রাজ্য কেরল, এই আইনের বিরোধিতা করেছে। সিএএ- প্রসঙ্গে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন তাঁর বক্তব্য সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন কোনভাবেই তাঁর শাসিত রাজ্যে সিএএ কার্যকর হবে না।বিজনের দাবি লোকসভা নির্বাচনের আগে সাম্প্রদায়িক অশান্তি সৃষ্টি করতেই সিএএ কার্যকর করতে চাইছে কেন্দ্র সরকার।
এই বিষয়ে গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার কেরলের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এলডিএফ সরকার একাধিকবার বলেছে যে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন, যা মুসলিম সংখ্যালঘুদের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক বলে গণ্য করছে, তা কখনও কেরলে কার্যকর হতে দেবে না। আমরা নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকব। এই বিভাজনের আইনের বিরুদ্ধে কেরল একজোট হয়ে বিরোধিতা করবে।”পিনারাই বিজনের সংযোজন, “ঠিক লোকসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণার আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সিএএ নিয়ে নির্দেশিকা জারি করেছে। এটা সাধারণ মানুষকে বিভাজিত করা, তাদের সাম্প্রদায়িক অনুভূতিকে উস্কে দেওয়ার জন্য করা হয়েছে। এই আইন ভারতীয় নাগরিকদের সমান অধিকারকে খর্ব করে, সকলের মিলিতভাবে এর বিরোধিতা করা উচিত।”
তিনি আরও বলেন, “মুসলিমদের নাগরিকত্ব না দিয়ে, কেবল পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে ২০১৪ সালের আগে আগত অ-মুসলিমদের নাগরিকত্ব দেওয়া সম্পূর্ণভাবে সংবিধান বিরোধী। ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকদের বিভাজন করা হচ্ছে। মানবতাকে খোলা চ্যালেঞ্জ করা হচ্ছে।” এই বিষয়ে কেলের কংগ্রেস সভাপতি কে সুধাকরণও বলেছেন, নির্বাচনে ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় এলে সিএএ-কে ছুড়ে ফেলা হবে।