মহানগর ডেস্ক: লক্ষ্মীবারে আচমকাই ‘অতিথি’ হয়ে কুণাল ঘোষ যান শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে। বঙ্গ রাজনৈতিক মহল এই ত্রয়ীর সাক্ষাৎকার নিয়ে বেশ সরগরম। তবে কি শোভন চট্টোপাধ্যায় নতুন ইনিংস শুরু করতে চলেছেন রাজনীতিতে? তা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠছে। ইঙ্গিত দিয়েছেন তৃণমূলে ফেরা নিয়ে। তাঁদের কথা হয়েছে দীর্ঘক্ষণ। শোভন-বৈশাখী- কুণালের মধ্যে বৈঠক নিয়ে সকাল হতেই মুখ খুললেন শোভন চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায় ।
কুণাল ঘোষ কেন হঠাৎ শোভন-বৈশাখীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন? এই প্রশ্ন করা হলে রত্না স্পষ্ট করলেন এই নিয়ে তাঁর কিছুই জানা নেই। রত্না চট্টোপাধ্যায় শোভন এবং বৈশাখীর তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন প্রসঙ্গে বলেন, ‘দল নিলে আমার কি বলার থাকতে পারে!’ তবে শোভন দলের প্রতি গত কয়েক বছরে কোনও দায়িত্বই পালন করেননি, সেটি রত্না আকারে ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিয়েছেন। এই বিষয়ে তিনি বলেন, ‘একদমই ঘরে বসা ছিল। দলের কোনও কাজেই ছিল না। ও যে বিজেপিতে গেল এবং সেখান থেকে ছেড়ে এল তারপর তৃণমূলে ফেরার মতো কিছু করেনি। এখন দল যদি মনে করে ওকে ফিরিয়ে নেবে সেটা দলের সিদ্ধান্ত।’
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার কুণালের সঙ্গে সাক্ষাৎ-এর পর শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমার শিরা উপশিরায় তৃণমূলে যোগ রয়েছে। আমি তৃণমূলেই আছি। আমি ৬ বছর সক্রিয় নেই। দিদি যেদিন বলবে, সক্রিয় হতে আমি সেদিন সক্রিয় হব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমার অভিভাবক।” অন্যদিকে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, “এর আগে পার্থদা এসেছিলেন। কিন্তু কুণালদা যেভাবে আন্তরিকতা ভাবে বলেছেন দলে ফেরার কথা, সেই আন্তরিকতা অন্য কারোর মধ্যে দেখিনি।” প্রসঙ্গত,গতকাল পৌনে সাতটা নাগাদ গোলপার্কে শোভন-বৈশাখীর ফ্ল্যাটে ঢুকেছিলেন কুণাল। আর যখন বেরলেন, তখন পেরিয়ে গিয়েছে সাড়ে ৯টা।প্রায় নৈশভোজের সময় হয়ে গেল চা খাওয়ার নিমন্ত্রণ রক্ষায় এসে। কী কথা হল তাঁদের এতক্ষণ ধরে? উভয়ের মধ্যে তো মাঝে সম্পর্ক বেশ তিক্ততার পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল।কুণাল সে কথা মেনে নিয়েও বললেন, বহু বছরের সম্পর্ক তাঁদের। বাধ্যবাধকতার কারণে মাঝে কিছু তিক্ততা তৈরি হয়েছিল বটে, কিন্তু তা ছাপ ফেলতে পারেনি আসল সম্পর্কের গভীরতায়।