মহানগর ডেস্ক : সন্দেশখালি ঘুরে জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ার পার্সন রেখা শর্মা যে রিপোর্ট দিয়েছে তা পক্ষপাতদুষ্ট। রেখা শর্মা বিজেপিনেত্রী ছিলেন। কাজেই তিনি বিজেপির ভাবধারাতে উদ্বুদ্ধ হয়েই সন্দেশখালির ঘটনার তদন্ত করেছেন এবং বিজেপির ভাবনায় জারিত হয়ে, বিজেপির দৃষ্টি থেকেই বিষয়টি দেখেছেন ও রিপোর্ট দিয়েছেন, সেটাই স্বাভাবিক, তাই তাঁর পদত্যাগ দাবি করছে তৃণমূল। তৃণমূল কংগ্রেসের এক্স হ্যান্ডেলে মঙ্গলবার সরাসরি এই অভিযোগ ও রেখা শর্মার পদত্যাগ দাবি করা হয়েছে।
তৃণমূল কংগ্রেসের এক্স হ্যান্ডেলে লেখা হয়েছে, রেখা শর্মা বিজেপির জেলা সম্পাদক থেকে জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সনের পদে এসেছেন। তাঁর এই রূপান্তর যে রাজনৈতিক পক্ষপাত মুছে ফেলবে না সেটাই স্বাভাবিক। যে ব্যক্তি নারী ও শিশুদের নিরাপত্তার ঊর্ধ্বে দলীয় স্বার্থকে গুরুত্ব দেয় তাঁকে, তাঁর দেওয়া রিপোর্টে আমরা কীভাবে বিশ্বাস করব? বিজেপির প্রতি আপনার এই আনুগত্য আপনার জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ার পার্সনের পদকে সম্পূর্ণরূপে অসম্মানজনক করে তুলেছে। নারীর নিরাপত্তার চেয়ে দলীয় আনুগত্যকে প্রাধান্য দেওয়ার সাহস আপনি কীভাবে পেতে পারেন? আপনার নির্লজ্জ পক্ষপাতিত্ব মর্যাদাপূর্ণ জাতীয় মহিলা কমিশনের ভূমিকাকে উপহাস করে। আপনি এখনই পদত্যাগ করুন এবং আপনার পক্ষপাতমূলক অক্ষমতা থেকে আমাদের রক্ষা করুন!”
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে, রেখা শর্মা জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রধান নিযুক্ত হন এবং তার আগে তিনি হরিয়ানায় বিজেপির জেলা সম্পাদক এবং মিডিয়া ইনচার্জ ছিলেন। টুইটার ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশের পরে, রেখা শর্মা এখন তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্টটি সুরক্ষিত করেছেন। তার পুরোনো টুইটার অ্যাকাউন্টটিকে আর অ্যাক্সেস করা যাচ্ছে না। রেখা শর্মা তাঁর সঙ্গে জাতীয় মহিলা কমিশনের অন্য প্রতিনিধিরা সন্দেশখালির ঘটনায় তদন্ত করতে গিয়ে সেখানকার মহিলাদের সঙ্গে কথা বলেন। তার পর রেখা শর্মা সংবাদ মাধ্যমের কাছে জানান, সন্দেশখালিতে মহিলাদের শ্লীলতাহানি করা হয়েছে। সন্দেশখালির যা পরিস্থিতি তাতে রেখা শর্মা পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির সুপারিশ করেছেন।
তৃণমূলের বক্তব্য, সন্দেশখালির ১৬টি ব্লকের মধ্যে ২/৩টি ব্লকে বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনা রাজ্যের শাসকের বিরুদ্ধে কোনও অসন্তোষ নয়, এটা স্থানীয় জমি সংক্রান্ত ঘটনা। মহিলাদের তরফে শারীরিক নির্যাতনের কোনও অভিযোগ পাওয়া যায়নি। বিজেপি, আরএসএস পরিকল্পিত ভাবে এই সন্দেশখালিতে শাসক বিরোধী পরিস্থিতি তৈরী করতে কিছু মানুষকে প্রভাবিত করে সরকার বিরোধী মিথ্যা অভিযোগ করাচ্ছে। জাতীয় মহিলা কমিশনের রিপোর্টেও সেই একই বিষয় ফুটে উঠেছে।