মহানগর ডেস্কঃ ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি, বাংলায় ৩৮টি আসনের প্রার্থী তালিকার নাম ঘোষণা করে দিয়েছে । আর মাত্র ৪টি আসননের তালিকা বাকি। জানা যাচ্ছে, রুদ্রনীল দোলের দিন দলের ৭৭ টি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রূপ থেকে বেরিয়ে যান। কিন্তু বিজেপি নেতার আচমকা এমন কি হলো? তবে কি প্রার্থী তালিকায় তাঁর নাম ছিলোনা বা টিকিট পাননি বলেই কি মনের রাগ এইভাবে পোষণ করেছেন?
এই রবিবার পদ্ম শিবির, বাংলায় দ্বিতীয় প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে, আর সোমবারের মধ্যেই এতো কটা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ হঠাৎ রুদ্রনীলের ছেড়ে দেওয়া, রাজনৈতিক মহলে থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ প্রত্যেকেই প্রশ্ন তুলেছে। টিকিট না পাওয়ার দুঃখেই কি এমন কাজ? বিরোধী দল যারা করেন তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ বলছেন, টিকিট না পাওয়ার কারণে রাগ-অভিমানে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ত্যাগ করলেন? এই প্রশ্ন উঠছে জনে জনে সকলের মুখে।
একাধিক হোয়্যাটসঅ্যাপ গ্রুপ লেফট করা নিয়ে রুদ্রনীল জানিয়েছেন, ‘দলের একাধিক গ্রুপে তাঁকে, যে যেমন পারছিল যখন তখন অ্যাড করছিল। নোটিফিকেশন, গ্রূপের এত মেসেজ, ভিডিয়ো যে ফোনটা ফুল হয়ে গেছিল। দোলের দিন, ফাঁকা ছিলাম, তাই ওই ফাঁকা সময়ে ফোন চেক করছিলাম, তারপর ওই গ্রুপগুলো থেকে সরে গেলাম। প্রায় ৭৭টা গ্রুপে অ্যাড ছিলাম আমি। দলের ৫টা অফিশিয়াল গ্রুপে যে মেসেজ, যে ভিডিয়ো আসে, সেগুলি সব ওই গ্রুপে গুলিতে আসত। এই সব কটা গ্রুপ বিজেপির অফিশিয়াল নয়। কিছু গ্রুপ খুলে আমাকে ঢোকানো হয়েছিল। যেসব এলাকার ওই গ্রুপ, সেগুলির সঙ্গে আমার সরাসরি কোনও সম্পর্কও নেই। তাই বেরিয়ে গিয়েছি। সবসময় এত ভিডিয়ো, মেসেজে মোবাইল স্লো হয়ে যায়।তার জেরে এমন করা, তাতেই এত জল্পনা হচ্ছে।’ যখন রুদ্রনীল কে ২০২৪ নির্বাচনের ব্যাপারে জিগেস করা হয় তিনি বলেন “যদি এবারের নির্বাচনের প্রার্থী তালিকার কথা বলেন, সেই নিয়ে একটু তো মন খারাপ রয়েইছে। আমি অভিমানী, বিক্ষুব্ধ এমনটা নয়। তবে বিজেপিই তো আমাকে প্রার্থী হতে শিখিয়েছে। তারাই তো এই জায়গায় এনেছেন। হাওড়ার শিবপুর থেকে তুলে ভবানীপুরে এনেছে। আমি ময়দানে পড়ে থেকে লড়াই করেছি।”
২০২১ সালে বিধানসভা ভোটের আগে রুদ্রনীল ঘোষ তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। ঘাসফুল শিবির ত্য়াগ করে গেরুয়া শিবিরে যোগ দেন তিনি। তারপর থেকে এই দলেই আছে তিনি। রুদ্রনীলের কথা শুনে মনে হচ্ছে তিনি এখনও দলের ওপর আস্থা রেখেছেন। বিজেপি এখনও ৪ লোকসভা আসনের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি। সেগুলি- আসানসোল, ডায়মন্ড হারবার, বীরভূম এবং ঝাড়গ্রাম । ইন্দ্রনীল বলেন, আমি বিজেপিতেই আছি। এবং বিজেপির অফিসিয়াল ১২টি গ্রুপেও আছি। এর পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, ‘দল যদি আমায় বলে অমুক অঞ্চলের প্রার্থী হন, বীরভূম পড়ে আছে। আসানসোলের মতো গুরুত্বপূর্ণ আসন পড়ে আছে। ডায়মন্ড হারবারেও প্রার্থী ঘোষণা হয়নি। ফলে দল যদি দল মনে করে, প্রার্থী হওয়ার যে যোগ্য ৩৮ জনের মধ্যে দেখতে পাওয়া গিয়েছে, তা আমার মধ্যেও আছে, দল তখন টিকিট দিতে পারে।’