Home Bengal “এখানে তো ভয় দেখিয়ে ভোট হয়…” বিস্ফোরক মন্তব্য সন্দেশখালির আরতি দেবীর

“এখানে তো ভয় দেখিয়ে ভোট হয়…” বিস্ফোরক মন্তব্য সন্দেশখালির আরতি দেবীর

by Mahanagar Desk
Published: Last Updated on 50 views

মহানগর ডেস্কঃ কেটে গিয়েছে প্রায় দেড়মাস কিন্তু এখনও অশান্ত হয়ে আছে গোটা সন্দেশখালি। খবর খুললেই প্রতিনিয়ত একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে  । বছরের পর বছর এই অঞ্চলের একাধিক এলাকাবাসী তাঁদের রাগ ক্ষোভ যন্ত্রণা পুশে রেখেছিল নিজেদের মধ্যে। যা এখন কার্যত বারুদ বিস্ফোরনের মতোই আকার নিয়েছে।  এর মাঝেইে এবার সন্দেশখালির মহিলাদের ওপর অত্যাচারের কথা উঠে আসতে দেখা গেল খবরের শিরোনামে। সেখানকার মহিলাদের দাবি, স্বাভাবিক ভোট হয় না সেখানে।

 মহিলাদের দাবি,  স্বাভাবিক ভোট হয় না , এমনকী গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি-র হয়ে ভোট লড়বার কথা ভেবেছিলেন সেখানকার এক মহিলা আরতি পাত্র। তাঁর অভিযোগ, ভোটে দাঁড়ানোর কথা চাউর হতেই আরতি পাত্রর কাছে চলে এসেছিল ‘সাদা থান’। তিনি এ প্রসঙ্গে বলেন, বিজপির হয়ে ভোট লড়তে যাওয়ার আগে মনোনয়ন জমা দেয়ার পথে কপালে জুটেছিল বেধড়ক মার। এই অভিযোগের আঙ্গুলও উঠছে সেই শিবু হাজরা ও সাহাজাহান এর বিরুদ্ধেই।আরতি দেবী তিনি আরও বলেন, “এখানে তো ভয় দেখিয়ে ভোট হয়। আমায় বলল ভোটে দাঁড়ানোর ইচ্ছা থাকলে সাদা থান দেব। শাহজাহান শিবু উত্তমরা তো তিনটে মাথা। ওদের চ্যালা আছে অনেক। আজ প্রায় ১৩ বছর ভোট দিতে পারিনি। লোক ডেকে ডেকে নিয়ে যায়। তারপর কালি লাগিয়ে দেয়। পুলিশ তো সামনে দাঁড়িয়ে থাকে। ভিডিয়ো গেম খেলে। ভোট দিতে পারছি না দেখেও মুখ কথা নেই।”দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে ভোট থেকে বঞ্চিত হয়েছেন সেখাকার একধিক ভোটার। এমনটাই দাবি স্থানীয়দের।

উল্লেখ্য,  সন্দেশখালি ঘটনার সরাসরি আঙুল উঠছে বাংলার শাসকদলের বিরুদ্ধে। এই ইস্যুকেই হাতিয়ার করে লড়াইয়ের ময়দানে নেমেছে বিরোধীরা। অপরদিকে নিজেদের পিঠ বাঁচাতে পাল্টা সওয়াল করছে তৃণমূল।  তবে বেশ কয়েকজন গ্রেফতারি হওয়ায় এখন কিছুটা স্বস্তিতে আছেন গ্রামের মানূষ। সঙ্গে  মহিলা আরও বলেন “আমরা কোনও রকমে বেঁচে আছি। প্রতিদিন অত্যাচার হয়। এই এখন কথা বলছি তাই যদি ওদের চ্যালারা দেখে রাত্রিবেলা দেখে কী করবে জানি না।আমার বড় বৌমা আর আমার বড় ছেলে এখানে থাকে না। বড় বৌমাকে দেখতে সুন্দর। দেখতে পেলেই তো তুলে নিয়ে যাবে। তার জন্য আমার বৌমাকে এখানে রাখিনি।” আরও জানালেন, “ওদের চোখে ভাল কেউ যদি পড়ছে সেই রাতেই তুলে নিয়ে যাবে।”

You may also like