মহানগর ডেস্ক : শাহজাহানের ডানহাত জিয়াউদ্দিন মোল্লা সহ ৩ জনকে সিবিআই আজই ডেকে পাঠাল নিজাম প্যালেসে। গত ৫ জানুয়ারি ইডি-র তদন্তকারী আধিকারিকরা যখন সন্দেশখালির বেতাজ বাদশা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে রেশন দুর্নীতির তদন্তে যান তখন তাঁদের উপর পরিকল্পিত হামলা চালানো হয়। অভিযোগ শেখ শাহজাহান অনুগামীরা এই হামলা চালায় ইডির উপর। আক্রমণের হাত থেকে বাদ যায়নি সংবাদ মাধ্যমের কর্মীরাও। এই দিন জিয়াউদ্দিন মোল্লা ইডির বিরুদ্ধে প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ করে বলে, ইডি জনতাকে প্ররোচিত করেছে বলেই জনতা উত্তেজিত হয়েছে। কেন কোনও নোটিশ ছাড়া, স্থানীয় থানায় না জানিয়ে ইডি শেখ শাহজাহানের আকুঞ্জিপাড়ার বাড়িতে এসেছে?
প্রসঙ্গত, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি শাহজাহানকে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশ। বসিরহাট আদালত তাঁকে ১০ দিনের হেফাজতের নির্দেশ দেয়। তারপর সিআইডি-র হেফাজতে ছিলেন শাহজাহান। পরে কলকাতা হাই কোর্ট শাহজাহানকে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিতে নির্দেশ দেয়। সন্দেশখালিকাণ্ডের তদন্তের ভার আলে যায় সিবিআইয়ের হাতে। রবিবার শাহজাহানকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক তাঁকে ১৪ মার্চ পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।শেখ শাহজাহানকে হাতে পেলেও তার দুটো মোবাইলের কোনও সন্ধান এখনও পায়নি সিবিআই। তবে জেরার সমশ শেখ শাহজাহান ভিডিও দেখে ৫ জানুয়ারির ঘটনার সময় ঘটনাস্থলে থাকা অনেকে চিনিয়ে দেয়।
তবে শাহজাহান শেখকে হাতে পেয়েও পুরোপুরি খুশি নয় সিবিআই। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে, তার সঙ্গে পুরোদমে চলছে তদন্ত। কিন্তু সিবিআই এখনও হন্যে হয়ে খুঁজে বেড়াচ্ছে শাহজাহানের দুটো মোবাইল। কারণ, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের ধারণা, এই মোবাইলেই লুকিয়ে রয়েছে শাহজাহানের সব কাজকর্মের তথ্য। সন্দেশখালির শেখ কাদের সঙ্গে ৫ জানুয়ারি ফোনে কথা বলেছেন তার পূর্ণাঙ্গ তথ্য পাওয়া যেতে পারে ওই মোবাইলেই, এমনটাই আশা সিবিআইয়ের। শেখ শাহজাহানকে জেরা করে সিবিআইর এটাই অনুমান।