মহানগর ডেস্ক: শনিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ঘাটালের সাংসদ দেবের বৈঠকের পর দিনই রবিবারই ঘাটালের সাংগঠনিক চেয়ারম্যান পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল শঙ্কর দলুইকে। দলের তরফে এই নির্দেশ দলীয় ফেসবুক পেজে পোস্ট করা হয়েছে। শঙ্কর দলুইয়ের পরিবর্তে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটালের তৃণমূল সাংগঠনিক চেয়ারম্যান পদে আনা হল রাধাকান্ত মাইতিকে।
এই ঘটনাকে তৃণমূল রুটিন ঘটনা বলে দাবি করলেও দলেরই একটা অংশ বলছে সম্প্রতি দেবের কাটমানি চাওয়া সম্পর্কে শঙ্কর দলুইয়ের একটি অডিও ক্লিফ ভাইরাল হয়। তারপরেই দেবের কাছে অভিষেক বৈঠক করে জানতে চান কি কারণে তিনি লোকসভা ভোটে দাড়াতে চাইছেন না? বৈঠকে দেব তাঁর কথা অভিষেককে জানান। শনিবারই অভিষেকের সঙ্গে বৈঠক করে দেব যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে, বৈঠক করেন। তারপরই দেবের দিকে ঝুঁকে, দেবের পাশে দাঁড়িয়ে মমতা ও অভিষেক শঙ্কর দলুইকে ঘাটাল সাংগঠনিক চেয়ারম্যান পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। শঙ্কর দলুই বলেন, “দল যা সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটা নিশ্চয় ভালোর জন্যই নিয়েছে।” তবে শঙ্কর দলুই ভাইরাল অডিও ক্লিফ নিয়ে কিছু বলতে চাননি।
প্রসঙ্গত যে অডিও ক্লিফটি ভাইরাল হয় তাতে একজনকে বলতে শেনা যায়, “আমি দিদিকে বলেছি, দেব ৩০ শতাংশ কমিশন চাইছে। দিদি শুনেও কিছু বলেননি। আসলে এখানে শততা বলে কিছু নেই। যে কলকাতায় টাকা পাঠাতে পারবে তাঁকেই দল দেখবে।” এই অডিও ক্লিফে যে কন্ঠস্বর শোনা গিয়েছে তা শঙ্কর দলুইয়ের বলে তৃণমূলের তরফেই অভিযোগ করা হয়। এই অডিও ক্লিফ প্রসঙ্গে দেবকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, “এখানে যার গলা শোনা গেছে তিনি নিজেই বলেছেন, সব দিদিকে জানিয়েছি। দিদিকে যখন তিনি জানিয়েছেন, তখন এটা নিয়ে যা বলার দিদিই বলবেন।” তাহলে কি দিদির সেই কথা মতোই শঙ্কর দলুইকে তাঁর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল? এদিকে মমতা ও অভিষেকের সঙ্গে বৈঠক শেষে শনিবার রাতে দেব বলেন, “আমি রাজনীতি ছাড়তে চাইলেও রাজনীতি আমায় ছাড়বে না।”