মহানগর ডেস্ক : হাবড়ার সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, “আমার জীবন থাকতে আমি ডিটেনশন ক্যাম্প হতে দেব না। কেউ CAA-র ফর্ম ফিলআপ করবেন না।” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যের তীব্র বিরোধীতা করে তমলুক থেকে সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া প্রক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “এসব কথার উত্তর দেওয়ার ইচ্ছে আমার নেই। কে বলেছে ডিটেনশন ক্যাম্প হবে? উনি তো সাম্প্রদায়িক মন্তব্য করছেন। সিএএ ভারতের, ভারতীয়দের আইন।”
মঙ্গলবার শুভেন্দু অধিকারী তমলুকে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে ছিলেন। সেখান থেকে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “ভোটের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মজা বুঝবেন।”কেন সিএএ নয়? এই প্রশ্নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সিএএ এনআরসি-র সঙ্গে জুড়ে দেবে। তাই সিএএতে আবেদন করার আগে অনেকবার ভাববেন। যেই সিএএতে আবেদন করবেন সঙ্গে সঙ্গে আপনাদের নাগরিকত্ব বাতিল হয়ে যাবে। আপনারা যে রেশন, কন্যাশ্রী, লক্ষ্মীর ভান্ডার পাচ্ছেন সব বন্ধ হয়ে যাবে। আমার প্রাণ থাকতে বাংলা থেকে কাউকে ডিটেনশন ক্যাম্পে যেতে দব না।”
মমতার এই কথার উত্তরে কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে? তিনি ভারত সরকারের আইনকে কি ভাবে মানুষকে না মানতে বলেন? কোন অধিকারে তিনি এসব বলছেন? আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিএএ কার্যকর হওয়ার পর ভয় পেয়েছে। সিএএ নিয়ে ওনার মিথ্যাচার এবার ধরা পড়ে যাচ্ছে। মতুয়া এবং তপশিলি সম্প্রদায়ের সব ভোট এবার বিজেপির কাছে আসবে, এই ভেবেই মমতা আতঙ্কে সিএএ নিয়ে এসব বলছেন।” অন্যদিকে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিএএ নিয়ে মিথ্যে কথা বলছেন। কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হবে না। এই আইন নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন। দু’ বছরের আবেদন করে মানুষ নাগরিকত্ব পেয়ে যাওয়ার পর যখন দেখা যাবে কাউকে দেশ থেকে বিতাড়িত করা হয়নি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তখন মিত্যাচারের জন্য ক্ষমা চাইবেন তো?” এদিন নন্দীগ্রামেও শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে যান অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রথমে যান তমলুকের জেলা বিজেপি কার্যালয়ে।