মহানগর ডেস্ক : অর্জুন সিং এবং সোমনাথ শ্যাম-এর দ্বৈরথ চলছে অনেকদিন ধরে। এবার লোকসভা নির্বাচনের মুখে ব্যারাকপুরে অর্জুন সিংকে প্রার্থী না করার আবেদন জানিয়ে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিতে চলেছেন সোমনাথ শ্যাম।
সোমনাথের দাবি, অর্জুনকে এলাকাবাসী সাংসদ হিসাবে চাইছেন না। তাঁর এই দাবির পক্ষে ‘প্রমাণস্বরূপ’ নিজের বিধানসভা এলাকায় কিছু মানুষের সইও সংগ্রহ করেছেন সোমনাথ। সেই সব সই সংবলিত চিঠিই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাঠাতে চলেছেন সোমনাথ। এই মুহূর্তে তৃণমূল দল অনেকটাই বিব্রত কুণাল ঘোষ, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাপস রায় সংক্রান্ত কারণে। তার উপর এ বার ফের অর্জুন-সোমনাথ দ্বন্দ্ব মাথাচাড়া দিল, এই ঘটনা লোকসভা নির্বাচনের মুখে তৃণমূল দলকে নতুন করে বিরম্বনায় ফেলবে। ২০১৯ সালে অর্জুন সিং তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরেই কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন সোমনাথ শ্যাম। ২০২২ সালে অর্জুন সিং আবার তৃণমূলে ফেরেন। সেই থেকেই অর্জুন-সোমনাথ দ্বন্দ্বের শুরু, এখন যা লাফিয়ে বাড়ছে। দুই নেতার লড়াই থামাতে সক্রিয় হয়েছিল তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। তাতে যে কাজের কাজ হয়নি, চলতি বিতর্কই সেটা প্রমাণ করছে।
ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত বীজপুর বিধানসভার তৃণমূল বিধায়ক সুবোধ অধিকারীও এই বিষয়ে সোমনাথের পাশেই দাঁড়িয়েছেন। অর্জুনকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “অর্জুন সিংহ আগে ঠিক করুন, কাদের প্রার্থী হবেন? বিজেপির না কি তৃণমূলের?” একই সঙ্গে তাঁর মন্তব্য, “২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে জেতার পর বিজেপি সাংসদ সিংহ হয়ে সাধারণ মানুষ এবং তৃণমূল কর্মীদের উপর অত্যাচার চালিয়েছিলেন। সেই কথা কেউ ভোলেননি। এখন ইঁদুর হয়ে তৃণমূলে ঢুকেছেন।” এদিকে ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত বিধানসভা কেন্দ্র আমডাঙায় অর্জুন সিংয়ের সমর্থনে পোস্টার পড়েছে। পোস্টারে লেখা হয়েছে, “অর্জুন সিংহকেই প্রার্থী চাই।” এই পোস্টারের নেপথ্যে অর্জুন অনুগামীরাই রয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। স্থানীয় বিধায়ক রফিকুর রহমান জানিয়েছেন, দলের শীর্ষ নেতৃত্ব যাঁকে প্রার্থী হিসাবে মনোনীত করবেন, তিনি তাঁর সঙ্গেই থাকবেন। পোস্টার প্রসঙ্গে রফিকুর বলেন, “মানুষ আবেগতাড়িত হয়ে এই ধরনের পোস্টার দিয়েছেন।” বিতর্কে অবশ্য মুখ খুলতে চাননি অর্জুন। তিনি জানিয়েছেন, দলের নির্দেশ ছাড়া আমি মুখ খুলবো না।