মহানগর ডেস্ক : পর্ণশ্রীতে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দ্বারা গণধর্ষনের অভিযোগের প্রতিবাদে সোমবার দক্ষিণ কলকাতার বেহালায় বিজেপির বিক্ষোভ মিছিল ও পথসভা করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু অধিকারী এই মিছিল শেষে একটি পথসভা করেন। এই সভা থেকে তিনি ১০ মার্চ ব্রিগেডে তৃণমূলের জনগর্জন সভার পাল্টা স্লোগান বলেন, “বেহালার গর্জন, মমতা সরকারের বিসর্জন।”
শুভেন্দু অধিকারীর এদিনের পথসভায় ভিড় ছিল নজরে পড়ার মতো। বিরোধী দলনেতা এই সভা থেকে বলেন, “আমরা আজ ভোট চাইতে আসিনি। বলতে আসিনি নরেন্দ্র মোদীকে তৃতীয় বারের জন্য জয়ী করুন। এসেছি এখানকার তৃণমূলের যিনি প্রতিনিধি সেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়, যাঁর নামের আগে চোর বসে গেছে,যিনি এখন জেলে। তিনি ছিলেন মমতার প্রিয় পাত্র, মমতার দলের সেক্রেটারি জেনারেল। তাঁর কোনও বেশি বয়সী বান্ধবী ছিল না, সবই তাঁর মেয়ের বয়সী, এতো গুণের তিনি অধিকারী ছিলেন,তিনি ছিলেন মমতার পার্থ। বেহালার মতো একটা বর্ধিষ্ণু এলাকায় এখনও তিনি জনপ্রতিনিধি। এদিন শুভেন্দু বলেন, ” অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়, যিনি ভাইপোর ইলোকশন এজেন্ট, এমএমআইসি, এ শুধু পার্থ ঘনিষ্ঠ নয়, মমতার যেমন শাহজাহান ছিল আলালের ঘরের দুলাল এই অভিজিৎ ও মমতার আলালের ঘরের দুলাল। এই অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়ের পুত্র দিব্য মুখোপাধ্যায় আমাদের এখানকার এক নারীর সম্মান,ইজ্জত লুন্ঠন করেছে। পশ্চিমবঙ্গের নারী নির্যাতন কোন পর্যায়ে গেছে সন্দেশখালির মা,বোনেরা তা বলেছেন, প্রতিবাদ করেছেন, সারা ভারত তা দেখেছে যে পশ্চিমবঙ্গে কি জঙ্গলের রাজ চলছে। আমরা ভাবতে পারি না, এই বেহালার মতো শহরে এক কাউন্সিল অভিজিতের পুত্র এমন জঘন্য কাজ করতে পারে। এই অভিজিতের মেয়ের চাকরি গেছে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের চাপে। এই অভিজিতের পুত্রকে বাঁচাতে হবে বলে পুলিশ অত্যাচারিত রমণী ও তাঁর পরিবারকে হাওয়া করে দিয়েছে। ভাবতে পারেন এ কোন জঙ্গলের রাজত্বে পশ্চিমবঙ্গে মানুষ আছে? এর পরেও কি এই রাজ্যের নারীশক্তি ও অন্য মানুষেরা তৃণমূলকে ইভিএমে গিয়ে ভোট দেবেন? আমার মনে হয় কারও এই ইচ্ছা নেই। অগ্নিমিত্রা পাল এই ঘটনার প্রতিবাদে নেমেছেন। এখানে মোদীর প্রশংসা, হিন্দুদের অনুষ্ঠান কিছু করতে পারবেন না। বজরংবলী বলতে ধ্বজ লাগাতেনপারবেন না। এখানকার অলিতে গলিতে সব লালচুল কানে দুল তার নাম তৃণমূল।”
এর পর শুভেন্দু পুলিশের বিরুদ্ধে বলেন, “আমার লজ্জা লাগে এখানকার পুলিশের কথা ভাবতে, তাঁদের পোশাকে লেখা আছে সত্যমেব জয়তে। আমার এই পুলিশের কাছে প্রশ্ন আপনাদের বাড়িতে কন্যাসম, বেনসম মেয়ে নেই? আপনারা রক্ষা করতে পারেন না বিপন্নদের। আপনারা আমাদের করের টাকায় বেতন পান। আমরা ভগবানে বিশ্বাস করি। আপনারা যেমন ভাবে দিব্য মুখোপাধ্যায়কে আড়াল করছে তাতে ভগবান আপনাদের ক্ষমা করবেন না। আমরা ভারতীয় জনতা পার্টি দিব্য মুখোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির আগে আন্দোলন থামাব না। এরপর থানার সামনে ধর্ণা হবে। আমাদের আটকাতে পারবে না। আমরা ভয় পাই না। সন্দেশখালিতেও অনেকবার আটকেছে, আমাদের আটকাতে পেরেছে? আমরা জেলিয়াখালিতে গেছি।” এর পরই শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলের জনগর্জন সভাকে কটাক্ষ করে বলেন, “ওটা জনগর্জন সভা ছিল না জন বিসর্জন সভা?” এরপর শুভেন্দু বলেন, “বেহালার গর্জন, মমতা সরকারের বিসর্জন।”