Home Bengal “এবারের ভোট প্রতিবাদ, প্রতিশোধের ভোট”, ময়নাগুড়ি থেকে গর্জনে অভিষেক

“এবারের ভোট প্রতিবাদ, প্রতিশোধের ভোট”, ময়নাগুড়ি থেকে গর্জনে অভিষেক

by Mahanagar Desk
40 views

মহানগর ডেস্ক : কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে ময়নাগুড়ির টাউন ক্লাব ময়দানের জনগর্জন সভা থেকে অভিষেক বললেন, “এবারের ভোট প্রতিবাদের ভোট, এবারের ভোট প্রতিশোধের ভোট।”

ময়নাগুড়ি টাউন ক্লাব ময়দানের সভা থেকে মোদীর গ্যারিন্টি বনাম দিদির গ্যারিন্টি প্রসঙ্গ তুলে ধরে নরেন্দ্র মোদী সরকারকে তুলোধোনা করলেন তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, এখানে জিতেই বিজেপি এখানকার মানুষদের ভাতে মারার কাজ শুরু করেছে।

বৃহস্পতিবার অভিষেক বলেন, বাংলায় যে টাকা পাঠিয়েছেন তার প্রমাণ দিন। গত তিনটি অর্থবর্ষে ১০০ দিনের কাজ এবং আবাস যোজনায় কত টাকা রাজ্য সরকারকে দিয়েছেন এই মঞ্চে এসে বলুন। আমি আমার একস হ্যান্ডেলে লেখার পর ওরা জায়গা জানতে চায়। অভিষেক বলেন, “আমার কাছে জায়গা জানতে চেয়েছিলেন, আমি বলেছি, ময়নাগুড়ি ক্লাব ময়দানে আজ ৩টের সময় আসুন। কেউ এসেছে? আমি দুটো পোডিয়াম রেখেছি। বিজেপি বলেছিল যুব মোর্চার এক সদস্যকে পাঠাবেন, পাঠিয়েছে? আমি নরেন্দ্র মোদীকে চ্যালেঞ্জ করছি, সাহস থাকলে এই মঞ্চে আমার সঙ্গে বিতর্কে আসুন, শ্বেতপত্র প্রকাশ করুন। আমার কথা ভুল প্রমাণ করতে পারলে, আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব।” অভিষেকের এবারের জনগর্জন সভা অনেকটাই হাইটেক। বিজেপির প্রতিশ্রুতি মিথ্যে, মোদী গ্যারিন্টি ভাঁওতা, বোঝাতে সভা চলাকালীন বেশ কয়েকটি এমন প্রসঙ্গের ভিডিও অভিষেক এদিনের সভা মঞ্চে চালিয়েছেন, যাতে দেখা যাচ্ছে ২০১৯ সালে নরেন্দ্র মোদী এসে কত প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।” ভিডিও শেষ হওয়ার পর অভিষেক উপস্থিত তৃণমূল সমর্থকদের কাছে বলেন, “এই প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়েছে? কিছুই হয়নি।”

অন্যদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিশ্রুতি এবং তা বাস্তবায়ন কি ভাবে হয়েছে তাও এই ভিডিওর মাধ্যমে মঞ্চে চালিয়ে দেখিয়েছেন অভিষেক। অভিষেক বৃহস্পতিবার বলেন, “এর আগে আমি এসে আপনাদের কাছে জানতে চেয়েছিলাম কি চান? আপনারা ধূপগুড়ি মহকুমা করার দাবি জানিয়েছিলেন, সেটা করে দিয়েছি। ধূপগুড়িতে ১০০ বেডের মহকুমা হাসপাতাল হবে। ১০০ দিনের টাকা রাজ্য প্রাপকদের ব্যাঙ্কে পাঠিয়েছে রাজ্য সরকার, নরেন্দ্র মোদী টাকা দেয়নি। ৫০০ টাকার লক্ষ্মীর ভান্ডার বাড়াতে আমার কাছে আপনারা অনুরোধ করেছিলেন, আমি মুখ্যমন্ত্রীকে বলেছি, মুখ্যমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি পালন করেছেন, ৫০০ টাকার লক্ষ্মীর ভানৃডার ১০০০ টাকা হয়েছে, তফসিলিদের ১০০০ টাকার লক্ষ্মীর ভান্ডার ১২০০ টাকা হয়েছে। কার গ্যারিন্টি নেবেন দিদির না মোদীর? এর জন্য আপনাদের ঠিক করতে হবে কাকে ভোট দেবেন? যে বারোমাস আপনার পাশে থাকবে তাকে না বহিরাগতদের, যারা ধর্মের নামে ভোট চায় তাদের? ভোটের আগে বাংলায় আসে, ভোটের পর দেখা পাওয়া যায় না তাদের, এটা আপনাদের ঠিক করতে হবে। এখন যারা ভাষণ দিয়ে যাচ্ছে ভোটের মুখে, ভোট হয়ে গেলে পালিয়ে যাবে।”

অভিষেক এদিন রীতিমতো চ্যালেঞ্জ জানিয়ে করেন, “একটা ছোট, বড়, মাঝারি বিজেপি নেতা যদি প্রমাণ করতে পারে গত ৩ বছর কেন্দ্র রাজ্যকে এক টাকা ১০০ দিনের কাজে, আবাসে দিয়েছে, তাহলে আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব। ভোটের সময় প্রধানমন্ত্রী মুখ দেখাতে আসছেন, দিল্লিতে যখন চাষিদের আন্দোলন, তখন মোদী যাননি। সবচেয়ে বড় দুর্নীতিগ্রস্থদের পাশে বসাচ্ছেন। মোদী গ্যারিন্টি মানে জিরো ওয়্যারেন্টি, দিদির গ্যারিন্টি সেটা নয়।” এদিন অভিষেক কোচবিহারের সাংসদ ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতীমন্ত্রী নিশিথ প্রাঙাণিককে আক্রমণ করে বলেন, “নিশিথ প্রামাণিক, জন বাড়লারা আপনাদের জন্য একটা চিঠি লিখেছে আপনাদের প্রয়োজনে, দেখাতে পারবেন? চা শ্রমিকদের জন্য ১ হাজার কেটি টাকার প্যাকেজ দেবেন বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী, দিয়েছেন?”

অভিষেক এদিন দাবি করেন, “বিজেপির কাছে সব আছে, কেন্দ্রের মেশিনারি আছে, টাকা আছে, ইডি, সিবিআই আছে আর কিচ্ছু নেই কিন্তু তৃণমূলের সঙ্গে মানুষ আছে। তাই ভোট দেওয়ার আগে মাথায় রাখবেন গ্যাসের দাম, সবজির দাম কোথায় ছিল কোথায় পৌঁছেছে। তাই বলছি কাকে ভোট দেবেন যে রেশন দিচ্ছে তাঁকে, না যে ভাষণ দিচ্ছে তাঁকে?” সভার শেষে অভিষেক স্লোগান তোলেন, “জনগণের গর্জন বাংলা বিরোধীদের করবে বিসর্জন, সারা বাংলার গর্জন, জমিদারদের, অত্যাচারিদের বিসর্জন এবার হবেই।” অভিষেক বলেন, “প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, “২০২২ সালের মধ্যে সবার মাথায় ছাদ দেবেন, তাই আবাসের টাকা বাংলাকে দেয়নি। এবারের ভোট প্রতিবাদ, প্রতিশোধের ভোট, এসব ভেবে ভোট দেবেন।”

You may also like