Home Bengal তৃণমূল নেতা তথা অভিনেতা চিরঞ্জিতের গলায় অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রশংসা, ব্যপারটা কি?

তৃণমূল নেতা তথা অভিনেতা চিরঞ্জিতের গলায় অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রশংসা, ব্যপারটা কি?

by Mahanagar Desk
116 views

মহানগর ডেস্ক:  বিচারপতির পদ থেকে ইস্তফা দেওয়া ও তারপরে সরাসরি বিজেপি-তে যোগদান করা নিয়ে অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায়ের সততা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আসরে নেমেছে শাসক শিবির। একের পর এক বহু রাজনৈতিক কটাক্ষের শিকার হচ্ছেন প্রাক্তন বিচারপতি তথা বিজেপি নেতা অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায়। নাম না করেই গতকাল, অর্থাৎ বৃহস্পতিবার  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কটাক্ষ করেন প্রাক্তন বিচারপতি গঙ্গপাধায়্যকে। এক দিকে যখন শাসক শিবির ব্যস্ত বিজেপি নেতাকে কটাক্ষের সূচে বিঁধতে, অপরদিকে তখন তৃণমূল বিধায়ক চিরঞ্জিতের গলায় শোনা গেল উল্টো সুর।

২০১১ সাল থেকে তৃণমূলের অন্যতম সৈনিক হিসেবে পরিচিত অভিনেতা চিরঞ্জিত। পর পর তিনবারের বিধায়ক তিনি। গতকাল সন্ধ্যায় নিজের বিধানসভা এলাকায় পৌরসভা আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি। এদিন এই মঞ্চ থেকে দাঁড়িয়েই তিনি গঙ্গোপাধ্যায়য়ের হয়ে বলেন,  “ওনার একটা আলাদা ইমেজ রয়েছে মানুষের মধ্যে। সেই ইমেজ উপরের দিকে আছে বলেই তো বিজেপি ওনাকে নিয়েছে।” দলের অন্যদের মত কটাক্ষের আঙ্গুল না তুলে বরং কিছুটা অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায়ের হয়েই কথা বলেছেন তিনি। চিরঞ্জিত এদিন আরও বলেন, “বিজেপিতে যোগ দিয়ে উনি তৃণমূলের বিরুদ্ধে যেটা চাইছিল সেটা মনে হয় আরও সহজ হয়ে গেল।” অনুষ্ঠান শেষে গঙ্গোপাধ্যায়ের বিজেপিতে যোগদান নিয়ে চিরঞ্জিত সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “মিডিয়াকে মিডিয়াম করে উনি নিজের একটা আলাদা ইমেজ তৈরি করেছেন। সেটা তিনি নিজেও স্বীকার করেন। ওনার ইমেজ আজ শিখরে পৌঁছেছে বলেই বিজেপি নিজেদের পার্টিতে যোগদান করিয়েছে ওনাকে । এতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করা ওনার পক্ষে আরও সহজ হয়ে গেল। এটাই তো সে চাইছিল!”

উল্লেখ্য, গতকাল নিজের দল ছাড়ার প্রসঙ্গেও কথা বলতে শোনা যায় তাঁকে। মঞ্চে দাঁড়িয়েই তিনি  এই বিষয়ে বলেন,“যতবার আমি হাতজোড় করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলি, আমাকে ছেড়ে দিন, কেন জানি না উনি আমাকে ছাড়েন না। আমি বলেছি, এটা আমার কাজ নয়, আমি এই যুদ্ধের সেপাই নই।” উপস্থিত সমর্থকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আপনারাও আমাকে বারবার ভোট দিয়ে জিতিয়ে দেন। তবে এবার আমি কথা দিচ্ছি, আর নয়, আমি এবার ছাড়ব।” সমর্থকরা দর্শকাসন থেকে চীৎকার শুরু করলে তিনি বলেন, “আমি আমেরিকায় মেয়ের কাছে গিয়ে বসে থাকব। আসবই না এখানে।” বক্তব্যের শেষে তিনি বলেন, ‘তবে ছাড়তে ইচ্ছে করে না। অন্তরটা রয়ে যায়। তাই আপনাদের কাছে বারবার ছুটে আসি। আর এলাকার উন্নয়ন তো চোখে পড়ছেই।”

You may also like