মহানগর ডেস্ক: রেড রোডে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধর্ণা কর্মসূচিকে “নাটক” বলে কটাক্ষ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পাশাপাশি তিনি অভিযোগ করলেন, “তৃণমূল ভোটার চুরি করেছে”।
শুক্রবার শুভেন্দু অধিকারী সাংবাদিকদের বলেন, “রানাঘাট থেকে ভাত জাংলা পর্যন্ত ঘুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেখেছেন রাস্তা ফাঁকা। মডার্ন ডেকরেটার্সের প্যান্ডেলের ভেতর যারা ছিল, তারা কেউ ভোটার নয়, ১২/১৪ বছরের ছেলে মেয়ে। তাই ভোটের মুখে এসে মমতা এখন বুঝেছেন পরিস্থিতি অনুকূল নয়, তাই তিনি রেড রোডে নাটক শুরু করেছেন ধর্ণার নামে। জল জীবন মিশনের টাকাতো কেন্দ্র দিয়েছে। তাহলে এই ধর্ণা কিসের?” পাশাপাশি সুকান্ত মজুমদার মমতার এই ধর্ণা কর্মসূচি প্রসঙ্গে বলেছেন, “মাধ্যমিক পরীক্ষার মধ্যে আমরা ভেবে ছিলাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধর্ণা কর্মসূচি করবেন না। কিন্তু দেখলাম তিনি ধর্ণায় বসেছেন। তাই আমরাও এবার ধর্ণায় বসবো। সিএজি রিপোর্ট নিয়ে মানুষের কাছে তুলে ধরবো রাজ্য কেন্দ্রের থেকে পাওয়া বিভিন্ন খাতের কত টাকা হিসাব বহির্ভূত ভাবে খরচ করেছে।”
শুভেন্দু অধিকারী এদিন ২২ জানুয়ারি প্রকাশিত সংশোধিত ভোটার তালিকা নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন,”তৃণমূল ভোটার চুরি করেছে। আমি এই ভোটারদের থেকে কয়েকজনকে সঙ্গে করে এনেছি। এরা কেউ ১৫ বছর, কেউ ২০ বছর,কেউ তারও বেশি সময়ের ভোটার। তৃণমূল ও সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের লোকেদের মাধ্যমে বেছে বেছে ভাটারদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে তৃণমূল সমর্থকের পরিবারের মৃত সদস্যদের নাম এখনও ভোটার তালিকায় আছে। এই ভোট শাহজাহানরা দেবে।” ডায়মন্ড হারবারের কিছু ভোটারকে শুভেন্দু অধিকারী শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলনে হাজির করিয়েছিলেন। তাঁরা নিজেদের ভেটার কার্ড, আধার কার্ড, ভোটার তালিকা হাতে নিয়ে বলেন তাঁদের নাম ভোটার লিস্ট থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “আমি নির্বাচন কমিশনারের কাছে এভাবে ভোটার তালিকা থেকে সঠিক ভোটারদের নাম বাদ দেওয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাবো। এটা কোন গণতান্ত্রিক রাজ্যে হয়? এরা আবার সংবিধানের দোহাই দেয়?”