মহানগর ডেস্ক: কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে রেড রোডে তৃণমূলের ধর্ণা মঞ্চে রবিবার অভ্যন্তরীণ কাজিয়া। তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেড রোডে ধরনা শুরু করেছিলেন গত ২ ফেব্রুয়ারি। ৪৮ ঘণ্টা পর সেই ধরনা থেকে তিনি উঠে গেলেও এখনও ধর্ণা মঞ্চ রয়েছে, চলবে ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। রবিবার সেই দশম দিনের ধর্ণা মঞ্চেই ঘটল অনভিপ্রেত ঘটনা। হাওড়ার নেতা তৃণমূল নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় মঞ্চে উঠতেই তাঁকে লক্ষ্য করে “গদ্দার” স্লোগান দিতে থাকে দলের নেতা, কর্মীদের একাংশ। বারবার বাধা দেওয়া হলেও কেউ যখন থামছেন না তখন পরিস্থিতি সামাল দিতে মঞ্চে থাকা দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি এই পরিস্থিতি দেখে ক্ষুব্ধ হয়ে হাওড়া জেলা নেতৃত্বকে মঞ্চ থেকেই নামিয়ে দেন। বন্ধ করে দেন এদিনের ধর্ণা কর্মসূচি।
তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে রবিবার সকালে হাওড়া গ্রামীণ এবং দুপুরের পর হাওড়া সদরের জেলা নেতৃত্ব ধরনামঞ্চের দায়িত্ব নেয়। দুপুরের পর সেখানে পৌঁছন ডোমজুড়ের প্রাক্তন বিধায়ক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, হাওড়ার সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, হাওড়া সদরের বিধায়ক অরূপ রায়-সহ জেলার শীর্ষ নেতারা। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় মঞ্চে উঠতেই নিচ থেকে দলীয় কর্মী, সমর্থকরা স্লোগান দিতে শুরু করেন। বলা হয়, “গদ্দার” কেন এই মঞ্চে? গদ্দার হঠাও”। সেসময় মঞ্চে বক্তব্য রাখছিলেন হাওড়া সদরের সভাপতি কল্যাণ ঘোষ। তিনি সকলকে শান্ত হতে বলেন। কিন্তু তবুও স্লোগান চলতে থাকে।
পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হতে থাকে। তা দেখে বসে পড়েন রাজীব বন্যোপাধ্যায়।এই ঘটনায় চূড়ান্ত ক্ষুব্ধ হন রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি। তিনি মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে হাওড়া জেলা নেতৃত্বকে মঞ্চ ছেড়ে বেরিয়ে যেতে বলেন। সাফ জানান, তাঁদের ছাড়াই ধরনা চলবে। তাঁর মেজাজ দেখে ঘাবড়ে যান নেতারা। কথা না বাড়িয়ে বেরিয়ে যান সবাই। আসলে হাওড়া জেলায় বরাবরই অরূপ রায়-রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে চাপা বিরোধিতা রয়েছে। তার মধ্যে রাজীব উনিশের ভোটের আগে বিজেপিতে চলে গিয়েছিলেন পরে আবার তৃণমূলে ফেরেন। তাই ঘাসফুল শিবিরের কর্মী, সমর্থকদের মধ্যে রাজীবকে নিয়ে ক্ষোভ ছিলই। তারই বহিঃপ্রকাশ হল রবিবার রেড রোডে তৃণমূলের ধর্ণা মঞ্চে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, “ভোটের আগে এই ঘটনায় দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে।”