মহানগর ডেস্ক: নাবালিকাদের যৌন হেনস্থার বিচারে তৈরি হওয়া পস্কো আইন (Posco Act) চালু হওয়ার দশ বছরে অভিযুক্তরা বেশির ভাগই খালাস পেয়েছেন, (Acquitted) যা শতকরার হিসেবে ৪৩.৪৪ শতাংশ। সাজা হয়েছে মাত্র চোদ্দ শতাংশের (Convicted)। এক সমীক্ষায় এমন তথ্য সামনে এসেছে। একশো আটত্রিশটি রায় বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছে নির্যাতিতারা অভিযুক্তের পরিচিত। তাদের মধ্যে ৩.৭ শতাংশ পরিবারের সদস্য। এর মধ্যে আঠেরো শতাংশ পূর্ব রোমান্টিক সম্পর্কে জড়িত। তবে চুয়াল্লিশ শতাংশের সম্পর্ক জানা যায়নি। এ ডিকেড অব পস্কো নামে ওই বিশ্লেষণাত্মক সমীক্ষাটি করে বিধি সেন্টার ফর লিগাল পলিসির জাস্টিস,অ্যাকসেস অ্যান্ড লোয়ারিং ডিলেস ইন্ডিয়া ইনিসিয়েটিভ। এই উদ্যোগে সাথ দিয়েছে বিশ্বব্যাঙ্কের ডাটা এভিডেন্স ফর জাস্টিস রিফর্ম প্রোগ্রাম।
সমীক্ষাটি করা হয়েছে ভারতের আঠাশটি রাজ্যের চারশো ছিয়াশিটি জেলার ই-কোর্টের ২৩০,৭৩০টি মামলা বিশ্লষেণ করে এই তথ্য সামনে এসেছে। সময়কাল ২০১২ থেকে ২০২১ সাল। ঘটনাচক্রে ২০২১ সালে ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর প্রকাশিত তথ্য থেকে জানা গিয়েছে পস্কোর অধীনে যে মামলাগুলি করা হয়েছে, তার মধ্যে ৯৬শতাংশ ক্ষেত্রে অভিযুক্তরা নিগৃহীতাদের পরিচিত। বিধি ইনিশিয়েটিভের বিশ্লেষণ করা জানা গিয়েছে ৫,৪৭ শতাংশ যৌন নির্যাতনের শিকারের বয়েস দশ বছরের নীচে। ১৭.৪ শতাংশ দশ থেকে পনেরো বছরের মধ্যে। ৪৮ শতাংশ নির্যাতিতার বয়েস জানা যায়নি। ওই মামলাগুলির মধ্যে ১১.৬ শতাংশ অভিযুক্তদের বয়েস ১৯ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে। ১০.৯ শতাংশের ২৩ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে। ৬.১ শতাংশ পঁয়ত্রিশ থেকে পঁয়তাল্লিশ বছরের মধ্যে। অন্যদিকে ৬.৮ শতাংশের বয়েস পঁয়তাল্লিশের বেশি। চুয়াল্লিশ শতাংশের বয়েস জানা যায়নি। তথ্য বিশ্লেষণে জানা গিয়েছে ৫৬ শতাংশ পস্কো মামলা যৌনহেনস্থা সম্পর্কযুক্ত। তার মধ্যে পেনিট্রটিভ সেক্সুয়াল অ্যাসল্ট ৩১.১৮ শতাংশ এবং অ্যাগ্রিভেটেড পেনিট্রেটিভ সেক্সুয়াল অ্যাসল্ট ২৫.৫৯ শতাংশ।