মহানগর ডেস্কঃ মঙ্গলবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে টেট উত্তীর্ণ চাকরি প্রার্থীদের দাবিকে খারিজ করে দেওয়া হয়। এরপরেই আমরণ অনশন শুরু করেন চাকরি প্রার্থীরা। বিক্ষোভরত চাকরি প্রার্থীদের মধ্যে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন মঙ্গলবার। তারপরেও নিজেদের দাবি ছাড়তে নারাজ এই টেট উত্তীর্ণরা। তাঁদের স্পষ্ট দাবি, হয় চাকরি দিতে হবে নয়ত তাঁদের লাশ তুলে নেওয়া যাওয়া হবে। অন্যদিকে পর্ষদের দাবিও পরিষ্কার। আন্দোলনকারীদের দাবি অন্যায্য। নিয়োগপত্র পেতে ফের পরীক্ষায় বসতেই হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে পর্ষদের তরফে।
মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল বলেন, ২০১৪ সালে টেট পাশ করা পরীক্ষার্থীরা দু’দুবার ইন্টারভিউ দেওয়ার পরেও প্যানেলভুক্ত হতে পারেননি। তাই তাঁদের আবার পরীক্ষায় বসতে হবে। বেআইনি ভাবে তাঁদের সুযোগ দেওয়া হবে না বলেই জানান পর্ষদ সভাপতি।
পর্ষদের বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্টই জানানো হয়েছে, ২০১৪-র সঙ্গে ২০১৭-র প্রাথমিক টেট উত্তীর্ণরাও পরীক্ষায় সুযোগ পাবেন। পর্ষদের এই সিদ্ধান্তেই নারাজ চাকরি প্রার্থীরা। তাঁদের দাবি ২০১৭-র টেট পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে পরীক্ষায় বসলে তাঁরা পিছিয়ে যেতে বাধ্য। পাশাপাশি তাঁরা জানান, ২০১৪ সালে টেট পাঁশ করা প্রশিক্ষিতদের ধাপে ধাপে চাকরির কোথা বলা হয়। এরপর ১৬ হাজার আসনে নিয়োগের আবেদন শুরু হলেও তৎকালীন পর্ষদ সভাপতি ভুয়ো প্রার্থীদের ঢুকিয়ে ২৯ হাজার করেন বলে দাবি করেন চাকরিপ্রার্থীরা।
পর্ষদ আর্জি খারিজ করে দেওয়ার পরেই বিক্ষোভরত প্রার্থীরা ক্ষোভে ফেটে পড়তে থাকেন। টানা ৪৫ ঘন্টার বেশি সময় পার করে করুণাময়ীতেই অবস্থান বিক্ষোভে চাকরিপ্রার্থীরা। আমরণ অনশনের দাবিও তোলা হয়েছে তাঁদের তরফে।
এদিকে বিক্ষোভকারীদের এমন সিদ্ধান্তে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ দ্বারস্থ হচ্ছে রাজ্যের শীর্ষ আদালতের। পর্ষদের সামনে আন্দোলন জারি থাকায় কোনও কর্মীই পর্ষদে প্রবেশ করতে পারছেন না বলে অভিযোগ করা হয়েছে পর্ষদের তরফে। ফলত আবশ্যিক কাজের ক্ষেত্র ব্যহত হচ্ছে। একইসঙ্গে কর্মীদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে বলেও দাবি করা হচ্ছে পর্ষদের তরফে। ফলত কলকাতা হাইকোর্ট থেকে তাঁদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা হোক বলে আর্জি জানানো হয়েছে আদালতে। যদিও আদালতের তরফে জানানো হয়েছে আরও একদিন আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভ চললে অসুবিধের কিছুই নেই। তাই তড়িঘড়ির আর্জি খারিজ করে দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানি হবে বলে জানানো হয়েছে শীর্ষ আদালতের তরফে।