মহানগর ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী (Prime Minister Visit) আসার আগে রাতারাতি ভোলবদলে গেল মোরবীর সরকারি হাসপাতালের। সাফাই থেকে রং, মেরামতি করে পুরোপুরি পাল্টে দেওয়া হল হাসপাতালকে। নতুন রং করা ওয়ার্ডের বেডগুলিতে তড়িঘড়ি পাতা হল নতুন চাদর। শুধু তাই নয়, বাছাই করা হল আহতদের, যাঁদের সঙ্গে মোদী দেখা করবেন ( Selected Patients)। তাঁদের সবাইকে শিখিয়ে দেওয়া হল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কী কী কথা বলতে হবে। বাকি আহতদের সরিয়ে দেওয়া হল সেখান থেকে। প্রধানমন্ত্রী আসার কয়েক ঘণ্টা আগেই এভাবেই প্রস্তুতি নেওয়া হল হাসপাতালের তরফ থেকে। একতলার ওয়ার্ডের ফাঁকা ঘর পরিষ্কার করার পাশাপাশি আনা হল নতুন বিছানা। পেতে দেওয়া হল নতুন চাদর। ওই ওয়ার্ডে রাখা হয় কয়েকজন আহতকে। কয়েকটি বেডশিড মোরবী থেকে একশো ষাট কিলোমিটার দূরে জামনগরের হাসপাতাল থেকে নিয়ে আসা হয়েছে।
সরকারি হাসপাতালের ভোল বদল করতে কমপক্ষে চল্লিশজন পেন্টারকে কাজে লাগানো হয়। সারা রাত ধরে তাঁরা রং করেন। যে ওয়ার্ডে মোদী আসবেন, সেই ওয়ার্ডের ভেতরেও রঙের পোঁচ দেওয়া হয়। টয়লেটেও লাগানো হয় ঝাঁ চকচকে টাইলস। চারটি ওয়াটার কুলার লাগানো হলেও তার মধ্যে অবশ্য জলের সংযোগ আসেনি। হাসপাতালে হাতে গোনা আহতদের দেখার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী মাচ্চু নদীর কাছে যান। এদিকে বিধানসভা ভোটের আগে মৃতদেহ নিয়ে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের সমালোচনা করেছে বিরোধীরা। কংগ্রেস ও আপ ব্রিটিশ যুগের ঝুলন্ত সেতু শংসাপত্র পাওয়ার আগে খোলা নিয়ে শাসকদল বিজেপির কাছ থেকে জবাব দাবি করেছে তারা। সেতু মেরামতির জন্য গত মার্চ থেকে বন্ধ থাকার পর গত সপ্তাহে তা সবার জন্য খুলে দেওয়া হয়।
সেতু খুলে দেওয়ার চারদিন পরেই ভয়ানক বিপর্যয় ঘটে, মারা যান একশো তিরিশজন মানুষ। এই ঘটনায় মেরামতকারী সংস্থা ওরেভার কর্মী, সেতুর দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তা রক্ষীদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ তাদের এফআইআরে মেরামতি সংস্থার গুরুতর দায়িত্বজ্ঞানহীনতা ও উদাসীনতার কথা উল্লেখ করেছে। এমনকী সেতু মেরামতির সময় পুরনো কেবল বদলও করা হয়নি বলে মেরামতির দায়িত্ব দেওয়া সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। সরকার পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে। সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হয়েছে একটি জনস্বার্থ মামলা। এদিকে ভোটের আগে এই বিপর্যয়ে শাসকদলের বিরুদ্ধে ক্রমাগত কামান দেগে চলেছে। আসন্ন বিধানসভা ভোটে এই বিপর্যয় প্রভাব ফেলে কিনা, এখন সেটাই দেখার।