মহানগর ডেস্ক: আগামী শনিবার নিরঙ্কুশ জয়ের রেকর্ড নিয়েই মাঠে নামতে চলেছে সবুজ মেরুন। তাই ক্রমশই ঘরের মাঠেই ক্লোজডোর অনুশীলনে ব্যস্ত বাগানের কোচ জুয়ান ফেরান্দ। এখনও পর্যন্ত ইন্ডিয়ান সুপার লিগে চার বার মুখোমুখি হয়েছে এটিকে মোহনবাগান এবং ইস্টবেঙ্গল। করোনা আবহে সেই ম্যাচ হয়েছিল গোয়ার দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে। এমন কী চলতি মরসুমে ডুরান্ড কাপেও দর্শক দেখেছে সুমিত পাসির আত্মঘাতী গোলে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড এর জয়। কিন্তু এবার আইএসএল-এর ডার্বি হবে ঘরের মাঠে। আর নিরঙ্কুশ জয়ের পরেও কলকাতার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে অনুষ্ঠিত হতে চলা ম্যাচে বিপরীতে থাকা লাল-হলুদ দলকে কোন ভাবেই তারা হালকা নিতে চান না। তাই ডার্বির চার দিন আগেই প্রীতমের গলায় সতর্কতার সুর। তিনি বলেছেন, ‘দলের সকলেই আত্মবিশ্বাসী। আমরাও তৈরি। কিন্তু ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণ এবং আক্রমণ বেশ ভালো। ওরা শক্তিশালী দল, ওদের হাল্কা ভাবে নেওয়া যাবে না। আর বড় ম্যাচ সব সময় আলাদা। ৫০-৫০। কে শক্তিশালী, কে দুর্বল— এ সবের কোনও গুরুত্বই নেই।’
প্রসঙ্গত, গত ম্যাচে কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে বাগান জয়ের মুখ দেখলেও প্রথম দু’ম্যাচে চার গোল হজম করতে হয়েছে সবুজ-মেরুনকে। ভালো খেললেও তাঁদের রক্ষণে যে অসংখ্য ফাঁক রয়েছে সে কথা বেশ ভালো জানেন তারকা ডিফেন্ডার প্রীতম। তিনি বলেন, ‘অ্যাটাকিং ফুটবল খেলা মানেই কিছু ক্ষেত্রে ডিফেন্সে গ্যাপ তৈরি হওয়া। কিন্তু আমরা পরিশ্রম করে ভুলগুলো শোধরানোর চেষ্টা করছি। খেলা যত এগোবে, প্রস্তুতি ততই বাড়বে এবং আমরা আরও উন্নতি করব।’ পাশাপাশি সবুজ-মেরুনের তারকা ফুটবলার জানিয়েছেন, ‘ডার্বি জেতার লক্ষ্যেই সব ফুটবলার মাঠে নামে। আমরাও তিন পয়েন্ট পাবার চেষ্টায় আছি। তাই মাঠে নামার আগে প্রতি দিন যেমন অনুশীলন হয়, তেমনই অনুশীলন চলছে। দল এবং ফুটবলার হিসেবে প্রতি দিন উন্নতি করাই লক্ষ।’
অন্যদিকে, মোহনবাগানের আর এক তারকা আশিক কুরুনিয়ানও লাল-হলুদকে সমীহ করে জানান, ‘ইস্টবেঙ্গল খুব শক্তিশালী দল। ওসের রক্ষণ মারাত্মক। শেষ ম্যাচে জিতেছে। তাই সতর্ক থাকতেই হবে। আর সব ফুটবলারই চায় মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল ম্যাচে গোল করতে। আমিও চাই গোল করতে। কিন্তু এটা তো কারও হাতে থাকে না, তবে চেষ্টার ত্রুটি রাখবো না।’ তবে ডার্বির আগে মঙ্গলবার থেকেই মোহনবাগান মাঠে শুরু হয়েছে ডার্বির প্রস্তুতি। আর এবারে ফেরান্দ সবুজ-মেরুন এর মাঠের দরজা বন্ধ রেখেছে সংবাদমাধ্যম থেকে সদস্য-সমর্থকদের জন্য। একান্তেই কলকাতা ডার্বির জন্য দলকে তৈরি করে টানা পাঁচবারের মতো ইস্টবেঙ্গল কে হারানো বাগান কোচের লক্ষ্য।