মহানগর ডেস্ক : সাধারণত প্রোটিনের উৎস বলতে আমরা যে কোন ধরনের আমিষ খাবারকে বুঝি। আর কথাটা সত্যি। শরীরের যত্ন নিতে যে উপাদানগুলি প্রয়োজন তার মধ্যে অন্যতম প্রোটিন। আর মাছ মাংস ডিম ইত্যাদি খাবার প্রোটিনের উৎস ভরপুর। তাই চিকিৎসকরা পর্যন্ত বলেন রোজ খাদ্য তালিকাতে যেন ঘুরিয়ে ফিরিয়ে এই ধরনের প্রোটিন খাবার থাকে। তাতে হাড় মজবুত হয় ,রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। এমনকি প্রোটিন তাদের ক্ষেত্রেও ভীষণভাবে উপকার যারা ওজন কমাতে চাইছেন। প্রোটিন আছে এমন খাবার দীর্ঘ সময়ের জন্য পেট ভর্তি রাখতে সাহায্য করে তাই প্রোটিন জাতীয় খাবার খেলে বারবার খাবার খাওয়ার প্রবণতা দূর হয়। তবে কেবলমাত্র আমিষ খাবারই প্রোটিনের উৎস এমনটা নয়। কিছু কিছু ফল রয়েছে যাতে রয়েছে প্রোটিন প্রচুর পরিমাণে।
পেয়ার : পেয়ারা একটি অত্যন্ত সুস্বাদু ফল। সামান্য নুন দিয়ে খেতে লাগে দারুণ। অনেকে আবার পেয়ারা রস কিংবা জ্যাম খেয়ে থাকেন। তবে প্রতি পেয়ারাতে ১০০ গ্রাম প্রোটিনের মধ্যে ৩ গ্রাম প্রোটিন থাকে। এছাড়া এতে রয়েছে ভিটামিন সি যা প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করে।
কমলা লেবু : বাঙালির খাদ্য তালিকাতে কমলালেবু এমন একটি ফল যার নাম শুনলেই পিকনিকের কথা মনে পড়ে। পাশাপাশি এটি শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এই লেবুতে নানা উপকারী উপাদান রয়েছে। প্রোটিনের পাশাপাশি রয়েছে ভরপুর ভিটামিন সি।
কলা : অনেকেই খাদ্য তালিকাতে প্রত্যেকদিন কলা রাখেন। কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম যা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। এছাড়া এর মধ্যে রয়েছে প্রোটিন। যা অনেক সমস্যা নিমেষে দূর করে।
কিসমিস : আঙ্গুর ফল শুকিয়ে সাধারণতা তৈরি করা হয় কিসমিস। তবে এই ড্রাই ফ্রুটস কিন্তু প্রোটিনের আধার। প্রায় ৩ থেকে ৪ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায় একটি কিসমিসে।
কাঁঠাল : অনেকেই হয়তো গন্ধের জন্য খাওয়া পছন্দ করেন না কিন্তু জানেন কি প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ করতে কাঁঠাল অত্যন্ত উপকারী একটি ফল। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে প্রোটিন। যা অন্যান্য সাধারণ ফলের থেকে অনেকটাই পরিমাণে বেশি।