মহানগর ডেস্কঃ বুধবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি প্রকাশ্য জনসভায় দাবি করেন এই রাজ্য থেকে টাটাকে তাড়াতে রাজ্যের শাসকদলের কোনও হাত নেই। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর স্পষ্ট দাবি, সিঙ্গুর থেকে টাটা গোষ্ঠীর বিদায়ের জন্য দায়ী প্রাক্তন শাসকদল সিপিএম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এমন দাবিতে কার্যত শোরগোল পড়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।
এবার সিঙ্গুরের জমি আন্দোলন ও টাটা গোষ্ঠীর বিদায়ের ইস্যুতে মুখ খুললেন সিঙ্গুর জমি আন্দোলনের অন্যতম শরিক সিঙ্গুরের জনপ্রিয় ‘মাস্টারমশাই’ রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য। একইসঙ্গে তিনি রাজনৈতিক পালাবদলের অন্যতম কাণ্ডারীও বটে। সেই রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যই মমতা বন্দ্যোপাধ্য্যায়ের সঙ্গে সহমত পোষণ করলেন না। রাজ্য থেকে টাটা গোষ্ঠীর বিদায়ের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি খারিজ করে তিনি জানালেন, জমি আন্দোলনের জেরেই টাটারা রাজ্য ছেড়েছে।
বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এমন যুক্তি অসত্য। জমি আন্দোলনের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অনেকেই সমর্থন করে ধর্নামঞ্চে সামিল হয়ে প্রতিবাফ-বিক্ষোভ করেছেন। মূলত সেই কারণেই টাটারা চলে গেছে বলে দাবি করেন তিনি। একইসঙ্গে ওই প্রবীণ নেতা আরও জানান, তৎকালীন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গান্ধীর সামনে যে চুক্তি হয়েছিল, সেই চুক্তি পরবর্তীকালে বাতিল করে পলিটব্যুরো। তার বদলে নতুন শর্ত যেটা পলিটব্যুরো দিয়েছিল সেটা টাটা গোষ্ঠীকে দেখানোই হয়নি বলে দাবি করেন প্রাক্তন তৃণমূল নেতা রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য। পাশাপাশি নিরাপত্তার কারণেই সিঙ্গুরে কারখানা করার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে টাটা গোষ্ঠী, এমনটাই দাবি তাঁর।
রাজ্যে শিল্প-সংস্থানের অভাবের জন্য বিরোধীরা তৃণমূল সরকারকেই দায়ী করে আসছে বরাবর। একইসঙ্গে রাজ্য থেকে টাটা গোষ্ঠীর বিদায়ের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শাসকদলকেই দায়ী করে বিরোধীরা। সেই ইস্যুতে আক্রমণাত্মক হয়েই মুখ্যমন্ত্রী বুধবার শিলিগুড়ির একটি বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানে এমন দাবি করেন। যা ঘিরে ফের প্রাসঙ্গিক হয়ে পড়েছে এক সময়ের রাজনৈতিক পালা বদলের অন্যতম অধ্যায় সিঙ্গুর আন্দোলন।