মহানগর ডেস্ক: কর্ণাটক হাইকোর্টের (Karnataka HC) কার্যক্রমের একটি ভিডিও টুইটারে শেয়ার করে বিপাকে পড়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। অভিযোগ দায়ের হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। সমাজকর্মী গিরিশ ভরদ্বাজ কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে অবমাননার বিচার চেয়েছেন এবং তাঁর দাবি রাজনৈতিক কারণে ক্লিপটি ব্যবহার করে আইনের উপহাস করেছেন রাহুল গান্ধী।
মূলত কর্ণাটক হাইকোর্ট সংক্রান্ত একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন রাহুল গান্ধী। যেখানে একজন বিচারক বলছেন যে, তিনি হুমকি পাচ্ছেন। ভিডিওটি শেয়ার করে ওয়ানাড়ের সাংসদ লেখেন, ‘কর্নাটকে বিজেপির দুর্নীতিবাজ সরকারের কার্যকলাপ ফাঁস করার জন্য হুমকি পাচ্ছেন একজন হাইকোর্টের বিচারক। একের পর এক বুলডোজার চালাচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টি। যাঁরা নির্ভয় তাঁদের দায়িত্ব পালন করছেন, তাঁদের পাশে আমাদের প্রত্যেককে দাঁড়াতে হবে’।
A HC judge has been threatened for exposing BJP's corrupt govt in Karnataka.
Institution after institution is being bulldozed by the BJP.
Each of us must stand with those fearlessly doing their duty. #DaroMat pic.twitter.com/QxBR9FcFP8
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) July 5, 2022
নেতার সেই ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছাড়া নিয়ে হাইকোর্টের রেজিস্টার জেনারেলকে চিঠি লেখেন সমাজকর্মী ভরদ্বাজ। তাঁর বক্তব্য, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ভিডিওটি শেয়ার করেছেন রাহুল গান্ধী। যা কেবল আদালতের অবমাননা নয়, সংবিধানের অবমাননাও। আইন বলে, আদালতের কার্যক্রমের কোনও ভিডিও রেকর্ডিং আপলোড, পোস্ট বা শেয়ার করা যাবে না। কংগ্রেস নেতা যা করেছেন তাতে, তাঁর বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনি পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
ভিডিওতে বিচারক এইচপি সন্দেশ অভিযোগ করেছেন যে, এসিবির বিরুদ্ধে মন্তব্য করার জন্য তাঁকে বদলির হুমকি দেওয়া হয়েছিল। বিচারকের কথায়, চাকরি হারাতে হলেও মাথা নত করবেন না তিনি। প্রসঙ্গে তিনি অন্য এক বিধায়কের বদলির উদাহরণ দিয়েছেন। এই স্বল্প সময়ের ভিডিওটি টুইটারে পোস্ট করেছেন রাহুল গান্ধী। যার পরই তাঁর বিরুদ্ধে আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। সমাজকর্মী ভরদ্বাজ জানিয়েছেন, ভারতীয় কপিরাইট আইন বা অন্যান্য বিধানের অধীনে শাস্তিযোগ্য কাজ করেছেন নেতা। তাঁর বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।