মহানগর ডেস্ক: দিল্লিগামী নীলাচল এক্সপ্রেস ট্রেন ছুটছিল প্রচণ্ড গতিতে। জানালার ধারের আসনে বসেছিলেন বত্রিশ বছরের হরিকেশকুমার দুবে। আচমকাই মোটা লোহার রড জানালা থেকে এসে ফুঁড়ে দিয়েছিল তাঁর বুক। আসনে বসেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছিলেন বছর বত্রিশের যুবকটি। তাঁর অকাল মৃত্যুতে দায় স্বীকার করে রেল ক্ষতিপূরণ দিতে চেয়েছিল দেড় লক্ষ টাকা (Rail Compensation) । কিন্তু তাঁর শোকাহত পরিবার রেলের ক্ষতিপূরণের টাকা ফিরিয়ে দিয়েছে (Refused By Family)। উল্টে মৃতের বাবা রেলের লোকজনকে বলেছেন, এ টাকা চাই না। তার বদলে রেল তাঁর কাছ থেকে পাঁচলক্ষ টাকা নিয়ে যাক। ওই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছিল শুক্রবার, সকাল পোনে নটা নাগাদ। ট্রেন বুলন্দশহরের দাওয়ার এবং আলিগড়ের সোমনার মধ্য দিয়ে ট্রেনটি যাচ্ছিল।
ট্রেনের গতি ছিল ঘণ্টায় একশো তিরিশ কিলোমিটার। মৃতের পরিবার জানিয়েছে, হরিকেশ তাঁর স্ত্রী শালিনী ও সাত বছরের মেয়ে ও চার বছরের ছেলেকে নিয়ে উত্তর-পূর্ব দিল্লির শহরতলিতে গত আট বছর থাকতেন। করোনা অতিমারিতে চাকরি হারিয়েছিলেন। সম্প্রতি একটি বেসরকারি সংস্থায় যোগ দিয়েছিলেন। হরিকেশের বোন ববিতা ত্রিপাঠি জানিয়েছেন, তিনি আট ভাইবোনের মধ্যে সব থেকে ছোট। ডিসেম্বরের পাঁচ তারিখে তাঁর জন্মদিন ছিল। বাড়ির সবাই হরিকেশের জন্মদিনের আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। রেলের অবহেলার জন্য তাঁকে হারাতে হল।
তাঁর মৃত্যুতে ক্ষতিপূরণ হিসেবে রেল দেড় লক্ষ টাকা দিতে চাইলেও তাঁরা তা নিতে চাননি। মৃতের বাবা উল্টে জানিয়েছেন রেল যেন তাঁর কাছ থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা নিয়ে যায়। রাতে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব মৃতের পরিবারের সদস্যকে পাঁচ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। কিন্তু রাজি হয়নি তাঁর পরিবার। বদলে মৃতের স্ত্রী ও এক আত্মীয়ের চাকরির দাবি করেছেন হরিকেশের বাবা শান্তারাম। জানান হরিকেশের দুটি ছোট ছেলেমেয়ে আছে। তারা বাঁচবে কী করে?