মহানগর ডেস্ক: ‘অগ্নিপথ‘ (Agnipath) প্রকল্পে সেনা নিয়োগের নয়া নিয়ম বাতিল নিয়ে উত্তাল গোটা দেশ। বিক্ষোভের জেরে দক্ষিণ-মধ্য রেলের ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৩ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা। জানা গিয়েছে, এই বিক্ষোভের দরুন বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ইস্ট সেন্ট্রাল রেলওয়ে ( East Central Railway) ও সাউথ সেন্ট্রাল রেলওয়ে। এই মুহূর্তে ভারতীয় রেল মন্ত্রকের কাছে ক্ষতির হিসেব পাঠিয়েছে দক্ষিণ-মধ্য রেল। রিপোর্ট অনুযায়ী, একাধিক রেলের কামরায় আগুন লেগে যাওয়ার কারণে ক্ষতির পরিমাণ অনেকটাই বেশি। একাধিক কামরা আগুনে ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে। এমনকি রেলের অনেক যন্ত্রাংশের উপরও ভাঙচুর চালানো হয়েছে। হিসেব বলছে, ৩১টি ট্রেন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
অন্যদিকে মালদহে বাতিল হয়েছে বহু ট্রেন। দিল্লি ও পাটনাগামী ট্রেনও বাতিল করা হয়েছে। প্রায় ছয় ঘন্টা মালদা টাউন স্টেশনে আটকে থাকার পর দিল্লিগামী ব্রহ্মপুত্র মেলের যাত্রাপথ সংক্ষিপ্ত করা হয়। অর্থাৎ মালদহ থেকে সেই ট্রেন আর দিল্লি পর্যন্ত যাবে না। এদিকে পূর্ব-মধ্য রেলের বিভিন্ন স্টেশনে হামলার জেরে, আসানসোল স্টেশনের উপর দিয়ে যাওয়া বেশকিছু ট্রেন বাতিল করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:‘মাফিবীর’ প্রধানমন্ত্রীকে ‘অগ্নিপথ’ ফিরিয়ে নিতে হবে’, মন্তব্য রাহুলের
এদিন দক্ষিণ-মধ্য রেলের যা যা ক্ষতি হয়েছে তা বিশদে জানানো হয়েছে মন্ত্রককে। একাধিক স্টেশনে সমীক্ষার জন্য পৌঁছতে পারেনি কর্মীরা। রিপোর্ট অনুযায়ী, মেকানিক্যাল যা ক্ষতি হয়েছে তা প্রায় ৩ কোটির কাছাকাছি। উল্লেখ্য, ‘অগ্নিপথ’ মডেল ঘোষণার পর থেকেই বিক্ষোভ শুরু হয়েছে গোটা দেশজুড়ে। মডেল অনুযায়ী, চার বছরের জন্য দেশের তিন সামরিক বাহিনীতে যুবক-যুবতীদের নিয়োগ করা হবে। কাজ শেষে ৭৫ শতাংশ অগ্নিবীরদের অব্যহতি দেওয়া হবে। সঙ্গে তাঁরা মোটা অঙ্কের প্যাকেজ পাবেন। কিন্তু সামরিক বাহিনীতে চাকরির জন্য যারা প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তাঁদের দাবি, এই প্রকল্পের ফলে তাঁদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। তাই বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবারও বিহার, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, হরিয়ানার মতো রাজ্য বিক্ষোভের আগুনে দাউদাউ করে জ্বলেছে। যাতে ক্ষতিগ্রস্ত রেল।