মহানগর ডেস্ক: মঙ্গলবার সাধু-সন্তদের নিয়ে রাজভবনে গিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। দেখা করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে। মা কালীকে অপমানের প্রতিবাদে এদিন রাজভবন চত্বরে শতাধিক সাধু নিয়ে ভিড় জমান তিনি। প্রসঙ্গে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) বলেছেন, এখন রাজভবন রাজনৈতিক কর্মসূচির জায়গা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সত্যি মিথ্যে না জেনে শুধুমাত্র বাংলার শাসকদলের বিরোধিতা করার মঞ্চ হিসেবে ব্যবহৃত হয় সেই জায়গা। কী আর করা যাবে? তৃণমূল কংগ্রেস কোনওভাবেই মা-কালীকে কোনওরকম অসম্মান করেনি। এই নিয়ে বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন কুণাল।
আরও পড়ুন : চকলেট খাওয়া কি মাইগ্রেনের কারণ হতে পারে!
তাঁর বক্তব্য, “রাজ্যপাল সক্রিয়ভাবে বিজেপির মুখপাত্র হয়ে গিয়েছেন। তিনি রাজ্যে গেরুয়া শিবিরের অপদার্থ নেতাদের হাল দেখে, নিজেই সে দলের প্রচারকের ভূমিকা নিয়েছেন। এক কথায় বিজেপির এজেন্ট ও দালাল। তিনি যদি মনে করেন ওই পদের অবমাননা করে ব্যক্তিগতভাবে বিজেপির হয়ে কাজ করবেন, তো করবেন”। তাঁর কথায়, শতাধিক সাধু-সন্তদের নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী যে রাজভবন চত্বরে গিয়েছিলেন তা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত। তাঁদের মধ্যে যদি কোনও ধর্মগুরু বা কোনও সন্ন্যাসী গিয়ে থাকেন, তবে তাঁদের ভুল বুঝিয়ে বিভ্রান্ত করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

সাধু-সন্তদের নিয়ে রাজভবনে শুভেন্দু
এদিন কালী বিতর্কে রাজ্যপালের হাতে প্রতিবাদ পত্র তুলে দিয়েছেন শুভেন্দু। ধনখড় বলেছেন,”বাংলায় তোষণের রাজনীতি চলছে”। এদিকে তৃণমূল মুখপাত্র জানিয়েছেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেস মা কালীকে অপমান করেনি। কারণ ঘাসফুল শিবির মনে করে কোনও দেবতা বা দেবীর পুজো কিংবা আচার বিভিন্ন মতে বিভিন্ন পদ্ধতিতে হতে পারে। দেবতাকে বিভিন্ন মতে কেউ নিবেদন করতে পারেন। এর মধ্যে কেন দল ঢুকবে? তৃণমূল কোনওরকম ধর্ম বা দেব-দেবীকে অপমান করে না’।