মহানগর ডেস্ক: টুইটারের ছাঁটাই-সন্ত্রাসের পর এবার কি ফেসবুক,ইনস্টাগ্রামের পেরেন্ট সংস্থা মেটায় শুরু হচ্ছে ব্যাপক হারে কর্মী ছাঁটাই অভিযান (Random Sacking In Meta?) ? যে ছাঁটাই অভিযানের কোপে পড়তে চলেছেন সংস্থার কয়েক হাজার কর্মী? এমনই আশঙ্কার কথা জানিয়েছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল (Wall Street Journal)। সম্ভবত আগামী বুধবারের আগে কয়েক হাজার কর্মীর ছুটির ঘণ্টা বাজিয়ে দিতে চলেছে তারা। যদিও ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের খবর নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি মেটা কর্তৃপক্ষ। ফেসবুকের পেরেন্ট সংস্থা অক্টোবরে জানিয়েছিল এ বছর তারা ট্রিলিয়ন ডলারের অর্ধেকেরও বেশি আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে তারা। আগামী বছরে স্টক মার্কেটের ভ্যালু সাতষট্টি বিলিয়ন ডলার কমে যাবে। এই হতাশজনক মনোভাবের পেছনে রয়েছে ধীরগতির বিশ্ব অর্থনীতির সঙ্গে মেটা সংস্থার পাল্লা দেওয়ার ঘটনা। পাশাপাশি টিকটকের সঙ্গে প্রতিযোগিতা, অ্যাপল থেকে গোপনীয়তায় পরিবর্তনে মেটাভার্সে বিপুল খরচের দিকটি উঠে এসেছে।
মেটার সিইও মার্ক জুকেরবার্গ জানিয়েছেন তিনি আশা করছেন মেটাভার্সে বিনিয়োগের ফল পেতে এক দশক লেগে যাবে। ইতিমধ্যেই তারা কর্মী নিয়োগ ও বিভিন্ন প্রকল্প বন্ধ করে দিয়েছে। এবং মেটা টিমকে খরচ কমানোরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অক্টোবরের শেষে মার্ক জুকেরবার্গ জানিয়েছিলেন, ২০২৩ সালে তাঁরা কম সংখ্যক হাই প্রায়োরিটি গ্রোথ এরিয়ায় বিনিয়োগ করার দিকে নজর দেবে। এর অর্থ কিছু টিমকে এগিয়ে যেতে হবে। অন্য টিমগুলির রাশ টেনে ধরা হবে। সেখানে খরচ,কর্মীদের সংখ্যা কমানো হবে। সবমিলিয়ে তাঁরা আশা করছেন ২০২৩ সালের শেষপর্যন্ত মোটামুটি একই আয়তন থাকবে সংস্থা বা আজকের চেয়ে আয়তন কিছুটা কম হতেও পারে। মেটা জুন মাসে ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়োগের ক্ষেত্রে তিরিশ শতাংশ হ্রাস করার পরিকল্পনা নিয়েছিল। সেসময়ই জুকেরবার্গ কর্মীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে অর্থনৈতিক মন্দাকে মেনে নেওয়ার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত হওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। মেটার শেয়ার হোল্ডার আলটিমেটার ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট জুকেরবার্গকে খোলা চিঠি লিখে জানিয়েছিল তাদের কর্মী কমিয়ে ও মূলধন ব্যয় কমিয়ে একটি স্বস্তিজনক জায়গায় নিয়ে আসা হোক সংস্থাকে। ব্যাপক খরচ ও মেটাভার্সে জোর দিয়ে তারা বিনিয়োগকারীদের আস্থা হারিয়েছে। এবার সেইসব ঘটনার প্রভাবে মেটা চরম পদক্ষেপ নেয় কিনা, এখন সেটাই দেখার।
.